কুড়িগ্রামে ফিল্মি স্টাইলে এক সাংবাদিককে অপহরণ করে স্বাদা স্টামে স্বাক্ষর সহ মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃিত সাংবাদিক কে উদ্ধার সহ এক আসামি কে গ্ৰেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও স্বাক্ষরিত স্বাদা স্টামসহ অন্য আসামিদের কে ৬ দিন অতিবাহিত হলেও গ্ৰেফতার করতে পারেননি পুলিশ।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক রাকিবুল হাসানের পরিবারের সঙ্গে বজলুর রহমানের পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসে। এক পর্যায় গত ৩ নভেম্বর/২০২৪ ইং উক্ত সাংবাদিক চীফ জুডিশিয়াল আদালতে কাজ শেষে ফেরার পথে বজলুর ও আনোয়ার এর ভাড়াটিয়া ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আদালত গেট হতে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে চোখ বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে পাশ্ববর্তী ভেলাকোপার চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারপিট করে ১০টি স্বাদা স্টামে স্বাক্ষর, পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ও মুক্তিপণের জন্য উক্ত সাংবাদিকের ব্যবহিত ফোন দিয়ে অপহৃিতর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করেন। পরবর্তীতে অপহৃিত সাংবাদিকের পরিবার নিরুপায় হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অবগত করলে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) নাজমুল আলম তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মনোয়ার হোসেন কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলে উক্ত এসআই এর নেতৃত্বে তার কয়েকজন সঙ্গী ও ফোজ কৌশলে অপহৃিত কে উদ্ধার সহ সিফাত আহমেদ নামক ১ আসামি কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে এবং তাকে প্রাথমিক ভাবে জিঙ্গাসা করলে সে শফিকুল (বিদেশী), রুবেল, লাভলুসহ ১০/১২ জন অপহরণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানান এমনটাই তথ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে অন্য আসামিদের কে গ্ৰেফতার সহ স্বাক্ষরিত স্বাদা স্টাম মামলার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
রাকিবুল হাসান জানান, আমি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পএিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত। পারিবারিক জেরধরে বজলুর ও আনোয়ার ১০/১২জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা আমাকে অপহরণ করে ১০ টা স্বাদা স্টামে স্বাক্ষর নিয়েছে। মামলায় হাতেনাতে ১জন আসামি কে অস্ত্রসহ পুলিশ গ্ৰেফতার করলেও অন্যান্য আসামিদের হুমকির মুখে আমি এখন নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর ) নাজমুল আলম জানান, ১জন আসামি কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের কে গ্ৰেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।