× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বিপিএল বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভাঙনে মানিকগঞ্জে ৩০ গ্রামের অর্ধ লাখ মানুষের দুর্ভোগ

আরিফুর রহমান অরি, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।

১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:০৬ পিএম

ছবিঃ আরিফুর রহমান অরি

মানিকগঞ্জে ভাঙনের থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাট ও যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিও। ঘিওর গরুহাটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া সহ হাটের যাতায়াতের একমাত্র পাকা সড়কের নিচের অংশের মাটি ধ্বসে যাচ্ছে নদীতে। যেকোনো মুহূর্তে চলাচলের সড়কটি নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট যানবাহন-মানুষজন। গরু হাটা ও সড়কটি দ্রুত ভাঙ্গন রোধে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বাকি অবশিষ্ট স্থাপনা ও বিস্তীর্ণ জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

অপরদিকে ঘিওর-কুস্তা ইছামতি নদীর উপর পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর সেখানে এ পর্যন্ত চলাচলের জন্য কোন ডাইভারশন রাস্তা নির্মাণ না করায় দুর্ভোগে পড়েছে ৩০ গ্রামের অর্ধ লাখ  মানুষজন। গরুহাট সড়ক রক্ষা ও কুস্তা নদীর উপর ডাইভারশন (রাস্তা) নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গরুর হাট ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পর এবছর হাটের সড়কটিও বিলীন হওয়ার পথে। অন্যদিকে ঘিওর কুস্তা ইছামতি নদীর উপর পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর সেখানে যাতায়াতের ডাইভারশন রাস্তা না করায় চরম দুর্ভোগ পড়েছে এলাকার দিশেহারা মানুষজন।

গরুহাট সংলগ্ন কুস্তা দক্ষিণপাড়া নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা ষাটউর্ধ রাবিয়া বেওয়া বলেন, তিন বছর আগে নদীতে সব চলে গেছে তার। এখন অবশিষ্ট থাকা একটু মাটির উপর সরকারি টিনের ঘরে বসবাস করছি। বিয়ে হয়ে যাওয়া দুই মেয়ে আমাকে ভাত-কাপড় দিয়ে চালাচ্ছে।

ঘিওর হাটে আসা রসুলপুর গ্রামের ইকবাল মোল্লা বলেন, বাপ-দাদা আমলের গরুহাটি নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন চলাচলের সড়কটির তলার মাটি ধ্বসে বিলিনের পথে। এ রাস্তাটি দিয়ে বেপারি পাড়া, বড়টিয়া, মোহালি, ফুলহারা, হিজুলিয়া, নেকের কান্দী, রসুলপুর, ঠাকুরকান্দী, গোলাপ নগর ও কুস্তা সহ প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষজন চলাফেরা করে থাকেন।

স্থানীয় গাড়ি চালক হৃদয় মিয়া জানান, দফায় দফায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে এই গরুহাটটি। এখন বাকী চলাচলে রাস্তাটির নিচের মাটি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। রাস্তাটি ভেঙে নদীতে চলে গেলে গ্রামের মানুষজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা কেরামত আলী জানান, গত কয়েক বছরের নদীর ভাঙ্গনে গরুর হাট বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে চলাচলের একমাত্র সড়ক টিও নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘিওর হাটে ধান বিক্রি করতে আসা তেরশ্রী গ্রামের মনোয়ার হোসেন জানান, কুস্তা নদীর উপর ব্রিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত একটি ডাইভারশন রাস্তা জরুরী হয়ে পড়েছে। আপাতত ডাইভারশন রাস্তাটি নির্মাণ হলে যাতায়াতকারী মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে।

নদী ভাঙ্গনের শিকার কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা নাহিদা বেগম বলেন, নদীর ভাঙ্গনে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। ভাঙ্গন রোধে আরো বেশি জিও ব্যাক ফেলা সহ কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, কুস্তা খালের উপর অনুমোদনকৃত নতুন ব্রিজটি যথা সময়ের মধ্য নির্মাণ হলেই যানবাহন সহ মানুষজনের যাতায়াতের দুয়ার আবার নতুন করে সচল হবে। চলাচলের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে ঘিওর-কুস্তা সহ বিভিন্ন এলাকার যাতায়াতকারী  মানুষজন।

ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশরাফ ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘিওর সড়কের কুস্তা খালের উপর বহু বছরের পুরাতন স্টিলের ব্রিজটি হেলে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি গত বছর অপসারণ করা হয়। একই স্থানে নতুন একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ বরাদ্দ হয়েছে। চলতি বর্ষার পানির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। ইতিমধ্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.