অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জসীট) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা ও জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমির হোসাইন।
তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্তের সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আতিকুর রহমান কালু দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তাতে তার মোট সম্পদের মূল্য দেখানো হয় ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকা। কিন্তু তদন্তকালে তার মোট সম্পদ পাওয়া যায় ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকার।
অর্থাৎ তিনি ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৫১৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। পাশাপাশি তিনি দুদককে মিথ্যা তথ্য দেন বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া কালুর আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এই অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অপরাধে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আতিকুর রহমান কালু একজন ব্যবসায়ী। বছরের পর বছর তিনি উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট রাজশাহীর সিটিহাট ইজারা পেয়ে আসছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় সম্প্রতি তার ছেলে আশিকুর রহমান তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।