ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা
লালমনিরহাটে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অভাবে ও এজলাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার কার্যক্রম। এতে দীর্ঘ হয়ে উঠছে মামলা জট। ভোগান্তীতে পড়ছেন বিচার প্রার্থী মানুষ নিজস্ব ভবন না থাকায় জেলা জজ আদালত ভবন, আদালত ভবনের বারান্দায় অস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনের কয়েকটি কক্ষে চলছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার কার্যক্রম। এসব কক্ষের কোন কোন এজলাস চলছে আবার পালা বদল করে।
২০০৭ সালের ১ লা নভেম্বরে বিচার বিভাগ আলাদা হওয়ার পর ফৌজদারি বিচারকাজ পরিচালনার জন্য আলাদা বিচারক এবং এজলাসের প্রয়োজন হয়।জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন তৈরি না হওয়ায় তখন থেকে ফৌজদারি বিচারকাজে নানা সমস্যা তৈরি হয়। জেলাবাসী দ্রুত বিচার এবং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে থাকেন। ভবন না থাকায় জেলা জজ আদালতের বারান্দাকে এজলাস বানিয়ে বিচারকাজ চালাতে হচ্ছে। একই এজলাস দিনে দুই বা তিনজন বিচারক ধারাবাহিকভাবে কাজ করেন।একই খাস কামরায় দু-তিনজন বিচারক বসায় গোপনীয়তা রক্ষা করা ও মামলায় রায় ঘোষণা করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে জটিলতা সৃস্টি হয়। নিজস্ব ভবন না থাকায় আদালতের অন্যান্য কর্মচারী গাদাগাদি করে বসে কাজ করেন।একই রুমে ছোট ছোট চেয়ার টেবিল নিয়ে গাদাগাদি করে বসেন। অপর দিকে নথি সংরক্ষণ করা ও মামলার আলামত, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রোদ বৃষ্টিতে নস্ট হ'য়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচে কয়েকটি কক্ষে আদালত বসায় এক এজলাস থেকে আরেক এজলাসের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার এতে কোন বিচারক কোন এজলাসে কখন উঠবেন তা বুঝতে প্রায়ই সমস্যা হয়। এটি সঠিক ভাবে না জানার কারণে অনেক বিচারপ্রার্থীরা এসে সারাদিন থেকে সন্ধ্যায় মামলার নতুন তারিখ নিয়ে বাড়ি ফিরেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh