শীতকাল মানেই নানা রকমের সবজির বাহার। আর এই শীতের শুরুতেই বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা রকমের সবজি। শীতের এই নানা রকমের সবজিতে বাজার সয়লাব হলেও জনসাধারণে রয়েছে চরম অস্বস্তি। আর এই অস্বস্তির প্রধান কারন সবজির চড়া মূল্য। এক কথায় সবজির চড়া মূল্যের এই আগুনে পুড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। তাদের মধ্যে আছে শুধুই হতাশা ও ক্ষোভ। তারপরেও জীবনধারনের জন্য এই চড়া মূল্যেই নিজেদের সাধ্যমত সবজি কিনছেন ক্রেতাসাধারণ।
বৃহস্পতিবার বরিশালের পাইকারী সিটি মার্কেট কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাধাকপি, বরবটি, লাউ, শিম, শালগম, টমেটো, পোটলসহ বিভিন্ন সবজিতে সয়লাব আড়ৎগুলো। তবে পাইকারী বাজারের থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সবজির মূল্য আরো বেশি। পাইকারী বাজারে গতকাল ফুলকপি কেজি প্রতি ৬৫-৭০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বিক্রী হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা, বাধাকপি কেজি প্রতি ৪৫-৫০ হলেও খুচরা বাজারে বিক্রী হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে, শিম কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ১০০-১১০ টাকা, শালগম কেজি প্রতি ৭০-৮০ হলেও খুচরা বাজারে ৯০-৯৫ টাকা, টমেটো পাইকারী বাজারে কেজি প্রতি ১৫০ টাকা অথচ খুচরা বাজারে বিক্রী হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা, বরবটি কেজি প্রতি ৭০-৭৫ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারী সিটি মার্কেট কাচাবাজরের একাধিক আড়ৎদার বলেন, তুলনামূলকভাবে বর্তমানে সবজির দাম একটু বেশি। তবে সামনে সবজির দাম কমতে পারে কি না সে বিষয়ে তারা জানান, হয়তো কিছুটা কমতেও পারে। তবে কাচাবাজারের সবজির দাম কখন বাড়ে কখন কমে তা স্পষ্টভাবে কিছু বলা যায়না।
এদিকে সিটি মার্কেট কাচাবাজারে সবজি কিনতে আসা কেডিসির বাসিন্দা আঃ সত্তার বলেন, এখন সবজি কিনে ভাত খাওয়া বড়লোকের ব্যাপার। আমাদের পক্ষে সবজি কেনা সম্ভব না। প্রতিটা সবজির দামই আকাশছোঁয়া। ২ কেজি সবজি কিনতেই লাগে ২০০ টাকা। তাহলে পরিবার নিয়া বাঁচবো কেমনে।
কাঁচাবাজার করতে আসা সবারই এক কথা তরিতরকারির এত দাম হলে কিভাবে বাঁচবো? তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাজারগুলোতে ভোক্তা অধিকারের অভিযানের কথাও বলেন। যাতে করে কিছুটা হলেও কমমূল্যে তারা সবজি ক্রয় করতে পারেন।