গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত আইইউটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মুবতাসিম রহমান মাহিন (২২) দাফনকার্য সম্পুন্ন হয়েছে। রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজ (২৪ নভেম্বর) বাদ জোহর নগরীর জুম্মাপাড়া নুরুল উলুম করিমিয়া মাদ্রাসায় বাদ জোহর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানুষের ঢল নামে। তার জানাযায় অংশ নেয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ এলাকাবাসী।
নিহত মুবতাসিম রহমান মাহিন গাজিপুরে অবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ইন্ড বিজনেস সোসাইটি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো। বাড়ি রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ায়। বাবা ইমতিয়াজুর রহমান ইমন এবি ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহিন ছিলো বড়। ছোট ভাই ইহান ৩য় শ্রেণিতে পরে পুলিশ লাইন্স স্কুলে। বাবা-মা ও পরিবারের খুব আদরের ছিলো মাহিন। ছোটবেলা থেকেই সে শান্ত স্বভাবের ছিলো।
মুবতাসিন রহমান মাহিনের চাচা হাসান রহমান বলেন, “মাহিন বাবা ওখানে (আইইউটি) তে ভর্তি হয়েছিলো পড়ালেখা শেষ করে দেশের জন্য ভালো কিছু করবে। কিন্তু তাকে ফিরতে হলো লাশ হয়ে এর মতো দুঃখজনক কিছু হতেই পারে না। পিকনিক থেকে সড়ক পর্যন্ত অবহেলা ছিল ব্যবস্থাপনায়। একটা তার ঝুলে পড়বে গায়ের মধ্যে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, শুধু তার ঝুলে থাকা তদন্ত কমিটির গঠন ও বরখাস্তের মধ্য দিয়ে মুল ঘটনা যেন আড়াল করা না হয়। সেই বিষয়টি দেখতে হবে। কার অবহেলার কারণে আমাদের সন্তানকে হারাতে হলো, এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাচ্ছিলেন। উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শ আসে। বাসে বিদ্যুতায়িত হলে প্রাণ হারান তিন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ার মুবতাসিম রহমান মাহিন (২২)। অন্য দুইজন হলেন মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।