কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দার নদীর উপর নির্মিত গৌরাঙ্গবাজার ব্রীজ এখন হকারদের দখলে। ব্রীজের দুই পাশে পথচারীদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও তারা ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছেনা। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের সড়কের মাঝপথ দিয়ে হাটতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ যেন পৌরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তি। শুধু ব্রীজের দুই পাশই নয়, যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানোর কারণে রাস্তার দু’পার্শ্বের ফুটপাত চলে গেছে হকারদের দখলে। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না থাকায় পথচারী চলাচলে সড়কে বেড়েছে যানজট। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ পর্যাপ্ত না থাকার কারণে যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত।
আজ (২৮ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের রাস্তার দু'পাশে হকাররা সারি সারি দোকান বসিয়েছে। এ কারণে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারছে না পথচারীরা। ফুটপাতের পাশেই অর্ধেক সড়কজুড়ে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান। তাছাড়া বেআইনিভাবে অভিজাত শপিংমলের সামনে মটরসাইকেল পার্কিং করে রাখা হয়েছে। রাস্তা দখল করে কাপড়, ফলের দোকান বসিয়ে সারাবছরই চলে বেচাকেনা। এতে জনসাধারণের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ কেউ ফুটপাতের ওপরেই ছাউনি দিয়ে পণ্য ঝুলিয়ে রেখেছে।
চাকুরিজীবী, পথচারি ও স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শহরের ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার কোনো উপায় নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি, দ্রুত ফুটপাত চলাচলের উপযোগী করা হোক।
যানজট নিরসনে পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ শহরে মানুষের কর্মচাঞ্চল্য বাড়লেও রাস্তাঘাট প্রশস্ত হয়নি। শহরে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পরিবহন হওয়ায় যানজট সব সময় লেগেই থাকে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।'