ফরিদগঞ্জে
ছেলের হাতে মা খুন হয়েছে।
উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এই ঘটনা
ঘটে। সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই থানা
পুলিশঘাতক ফয়েজ ভূঁইয়াকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানিয়েছেন, ভূঁইয়া বাড়ির মাওলানা আবু জাফরের স্ত্রী কাউছারা বেগম (৬০)কে তার
ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী মাওলানা ফয়েজ ভূঁইয়া কাঠের টুকরো দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে, তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ও অন্য দুই
ছেলে ছুটে আসে। তারা আহতাবস্থায় মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে আহত কাউছারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের
অপর ছেলের স্ত্রী জানান, মায়ের চিৎকার শুনে এসে দেখি তিনি মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, ফয়েজ ভূঁইয়া প্রায় ১০ বছর যাবত
মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে।
খবর
পেয়ে রাতেই ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মোহাম্মদ আমজাদ আলী চৌধুরী ও এসআই খোকন
দাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। ঘরে বন্দি ফয়েজকে পুলিশ দরজা খুলতে বললে ফয়েজ ভূঁইয়া সহজে দরজা খুলে দেন। ওই সময় তিনি
পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে গুলি করে দেন্'। পরে পুলিশ
তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ
বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, ছেলের হাতে মা খুন হওয়ার
ঘটনায় ঘাতক ফয়েজ ভূঁইয়াকে আটক করা হয়েছে। মামলা দাযের ও তদন্তক্রমে আইনগত
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।