সুনামগঞ্জের ছাতকে ট্রাক চাপায় শিহাব উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ নভেম্বর (শনিবার) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টস্থ রেল ক্রসিং এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিএনজি অটোরিকশা চালক শিহাব উদ্দিন উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের মৃত নূর ইসলামের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৪০৩৫) গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে প্রবেশের পর রাস্তার মধ্যখানে রোড ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে গেলে সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা সিএনজি অটো রিকশার উপর পড়ে যায়।এসময় সিএনজি অটো-রিকশার ভেতরে থাকা তিন চালকের মধ্যে দুইজন বেরিয়ে আসলেও শিহাব উদ্দিন বের হতে পারে নি। স্থানীয় লোকজন উল্টে যাওয়া ট্রাক থেকে সিলিন্ডার নামিয়ে শিহাবকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রায় এক ঘন্টা পর রাত ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস, সেনা বাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত দেড়টায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিহাবের মৃত্যুর খবরে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে, দূর্ঘটনার পর সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী, জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ,থানা পুলিশ ও জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহায়তায় যানজট নিরসনের পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে সড়কের পাশের রেলওয়ের পরিত্যক্ত পাকা ঘরটি উচ্ছেদ না করায় এবং সড়কের উভয় পাশে রোড ডিভাইডারে কোন চিহৃ না থাকায় এবং পয়েন্টে গোল চত্বর বড় হওয়ায় সড়কের পরিধি সরু হয়ে যাওয়াতে প্রায়ই এখানে দূর্ঘটনা ঘটছে।
ঘটনার পরদিন আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও জনতা মিলে সড়কের পাশে থাকা রেলওয়ের পরিত্যক্ত ঘরের অনেকটা অংশ ভেঙে ফেলে রাস্তাকে প্রশস্ত করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিক জনতা অভিযোগ করেন, সড়কের পাশে রেলওয়ের পরিত্যাক্ত ঘরটি না থাকলে আজ আমাদের শিহাবকে হারাতে হতোনা।
ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।