আন্দোলন দমাতে অর্থ দেয়ার অভিযোগে ওয়াসা প্রকৌশলী ডন গ্ৰেফতার
রাজশাহী ব্যুরো।
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩০ পিএম । আপডেটঃ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৮ পিএম
ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা
রাজশাহী ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সোহেল রানা ওরফে ডনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নগরের বর্ণালী মোড়ের একটি কোচিং সেন্টার থেকে তাকে আটক করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা একটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি সোহেল রানা ডন। মামলায় তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে অর্থ লগ্নি করার অভিযোগ করা হয় এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন ডনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, ‘ডন একটি মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।’
সোহেল রানা ডনের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। সোহেল রানা ডন চাকরিতে যোগদানের আগে থেকেই কোচিং ব্যবসায় জড়িত। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি কাগজে-কলমে কোচিং সেন্টার দিয়ে দেন তার বাবার নামে। তবে প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই পরিচালনা করেন কোচিং সেন্টার। বর্তমানে অন্তত চারটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকারও অভিযোগ আছে।
এ অভিযোগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সোহেল রানা ডনসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ও ল্যাপটপে সে সময় বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন পাঠানোর আলামত মেলে। তারপর কিছুদিন জেল খেটে বের হন সোহেল রানা ডন। প্রভাবশালী মহলের আর্শীর্বাদ থাকায় পার পেয়ে যান তিনি। প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার হলেও তার চাকরিও যায়নি। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথেই ছিল তার সখ্যতা। বিশেষ কর, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে ছিল চরম সখ্যতা। নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল লিটনের বাসাবাড়িতে।