কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন মুমুরদিয়া গ্রামের নওমুসলিম দেলোয়ার হোসেন (দিলীপ) ও মোঃ শরীফের পৈতৃক বাড়ি ভিটা ও দোকানপাঠ জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী নেতা ফজলুর রহমান ও মো: গাজী মিয়ার বিরুদ্ধে। এসব জবরদখল ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলেনি বলে জানা যায়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এসব জবরদখল ও শতবছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াসহ দোকান দখলের অভিযোগ করেন। এছাড়াও প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকিও দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ও প্রতিকারের দাবি জানান।
ঘটনার বিবরণ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, দক্ষিণ মুমুরদিয়া গ্রামের মৃত মৃসলেহ উদ্দীনের ছেলে ফজলুর রহমান ও গাজী মিয়া স্থানীয় ওয়ার্ড আলীগের নেতা। তাদের ইটবাটার ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে প্রভাব দেখিয়ে ৫/৬ টি নিরীহ পরিবারের জায়গা দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে প্রথমে ঢাকায় বসে পাশের বাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি ক্রয় করে। এই ক্রয়সুত্রে আশেপাশের নীরিহ ৫/৬ টি পরিবারের বাড়ি-ঘর দখলে নেয়ার পায়তারা করতে থাকে। সম্প্রতি তারা দুটি নওমুসলিম পরিবারসহ ৫/৬ পরিবারের ১০ হাত ভিতর গিয়ে জায়গা দখল করে বাঁশ ও কাট দিয়ে বেরিকেট তৈরি করে এবং ইটের শুরকী ও কংক্রিট উঁচু করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। যাতে করে তারা বাড়িঘর থেকে বের হতে না পারে।
ভুক্তভোগী লোকজনের অভিযোগ ও দাবি তাদের পৈতৃক ভিটা বাড়ী রক্ষায় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে প্রশাসনিক কার্যকর ও আইনি প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কটিয়াদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।