ছবিঃ সংগৃহীত।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংগঠন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শরীয়তপুর জেলা। বুদ্ধিজীবী দিবসে ছাত্র ইউনিয়ন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাম গণতান্ত্রিক জোট ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেনি।
আজ (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শরীয়তপুরের মনোহর বাজার বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যৌথ বিবৃতি প্রদান করে শরীয়তপুর জেলা ছাত্র ইউনিয়ন।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক অর্ক ভাওয়ালের প্রেরিত সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারগণ নিশ্চিত পরাজয় জেনে বাংলাদেশকে মেধা শূণ্য করার এক নীল নকশা করে। নকশা অনুযায়ী এদেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা। প্রতিবছর শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসমূহ শরীয়তপুরের মনোহর বাজার বদ্ধভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। কিন্তু এবছর বাম ধারার দুইটি সংগঠন ব্যাতিত জেলা প্রশাসন বা কোনো সংগঠন মনোহর বাজার বদ্ধভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেনন
এঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, শরীয়তপুর জেলা সংসদের সভাপতি বিকাশ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক জি কে সাজ্জাদ বলেন, আমরা ক্ষোভ, দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এবছর বাম ধারার সংগঠনসমূহ ব্যাতিত শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সমূহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি। যা অত্যন্ত দুঃখ ও হাতাশাজনক। ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে না পারা এবং প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী মাহমুদুল হাসান রিজভীসহ এদেশের ছাত্র-জনতা বুকের তাজা প্রাণ ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শোষণ বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী ছাত্র সমাজ ও সর্বস্তরের মানুষের প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে সচেষ্ট থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি শরীয়তপুর জেলাকে।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সাজ্জাদ হোসেন শোভন বলেন, শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। আমার জানা মতে জেলা প্রশাসনের সকাল ৮ টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা ছিল। কিন্তু তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে কি না, তা আমি জানি না। শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। যারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করে, তাদের মুক্তিযুক্ত নিয়ে সংশয় আছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। একাত্তরকে ভোলার কোনো সুযোগ নেই। যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো সংশয় থাকত, তাহলে তো শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম না। শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশে চলছে। বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়ে সামগ্রিকভাবে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তাই আমরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন কেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেনি বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
বিষয় : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh