× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মামলা তুলে নেবার বিপরীতে দাবি পাঁচ লাখ ও ছাঁপাখানার মেশিন

রাজশাহী ব্যুরো।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪১ পিএম । আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৯ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা

রাজশাহীতে সাবেক স্ত্রীর হুমকি ও হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন ভূক্তভোগী স্বামী রিংকু ও তার পরিবার। একের পর এক মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহানগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে আবুল কালাম আজাদ রিংকু। সে পেশায় একজন ছাপাখানা ব্যবসায়ী। রোববার (২২ ডিসেম্বর) মহানগরীর একটি রেস্তোঁরায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভূক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় আমার একটি ছাপাখান আছে। প্রিন্টিং মেশিনে কিছু পোস্টার ছাপানোর কথা বলে প্রিয়া নামের এক অপরিচিত মেয়ে কয়েক বছর আগে আমাকে ফোন দিয়ে দেয়। পবা উপজেলার শুকুর আলী বাবুর মেয়ে প্রিয়া খাতুনের সাথে আমার সেদিনই প্রথম কথা হয়। সে তার কাজের অর্ডার নিতে ফোন দিয়ে আমাকে রাজশাহী কলেজে ডাকলে; আমি সেখানে যায়। প্রিয়া সেদিন আমাকে কোন প্রকার কাজ না দিয়ে কৌশলে আমার সাথে গল্প করতে শুরু করে। কয়েকদিন পর সে আমায় প্রেমের প্রস্তাপ দিয়ে বসে।

আমি বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও প্রিয়া আমার পিছ ছাড়েনা। বিভিন্ন সময়  অচেনা নাম্বার ব্যবহার করে সে আমাকে নিয়মিত ফোন দেয়া শুরু করে। অবশেষে প্রিয়া আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। আমি রাজি না হওয়ার কারণে, তার কয়েকদিন পর  প্রিয়া বিয়ের জাল কাবিননামা ও নকল এফিডেভিট নিয়ে আমার বাসায় হাজির হয়।

আমার পরিবার তাকে মেনে না নিলে প্রিয়া আমার বিরুদ্ধে গত ২১/০৬/২০১৯ ইং তারিখে ভুয়া যৌতুকের মামলা দায়ের করে। তার করা মিথ্যা মামলা থেকে পত্রিাণের আশায়, প্রিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে জাল কাবিননামা ও নকল এভিডেভিট করার জন্য ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখে আমিও একটি মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে সে আবারো আমার ছাপাখানায় এসে হাজির হয়। ছাপাখানাতে এসে আবারো সে আমাকে বিয়ের জন্য অবৈধ চাঁপ প্রয়োগ করে। তাতেও আমি রাজি না হলে, প্রিয়া বিষ খেয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। অতঃপর, তাকে হত্যা করার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে সে আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় আমাকে ছাড়াও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আমার ছাপাখানার কর্মচারিসহ একাধিক বন্ধুকেও আসামী করে। ঐ মিথ্যা মামলায় আমি গ্রের হয়ে ৪৫ দিন হাজতবাসে ছিলাম।

এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে তার পরিবারের সাথে আপোষ-মিমাংসাতে বসার চেষ্টা করে। তার একটায় দাবি যে আমাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু কেনো, কিসের প্রেক্ষিতে বা কোন কারণে সে আমাকে বিয়ে করতে চায় সেটা আমি আজও বুঝিনি। তাকে বিয়ে করলে সে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে মামলা থেকে মুক্তি দিবে, অন্যথায় মামলা চলমান থাকবে বলেও হুমকি দেয়। অনুন্যপায় হয়ে, গত ০৮/১১/২০২০ ইং তারিখে এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে প্রিয়াকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।

বিয়ের পর প্রমাণ হয় যে, প্রিয়া যে কাজী অফিসের ঠিকানা সম্বলীত বিয়ের কাগজপত্র, ডকুৃমেন্ট ও এভিডেভিটের স্বাক্ষরটি সকলকে দেখিয়ে ছিল সেটি নকল। সকল প্রকার ডকুমেন্টে দেয়া স্বাক্ষরটি আমার (ভুক্তভোগী রিংকু) না। যার কারণে প্রিয়ার করা মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়। অবশেষে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

অনুন্যপায় হয়ে প্রিয়া বিয়ে করার পর সে ও তার মা (রিংকুর শাশুড়ী) কাজলী বেগম বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে। প্রায় সময় মা-মে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পারিবারিক কারণে মনোমালিন্য হলে প্রিয়া খাতুন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ এনে নির্যাতন করতো।

কিছু বলতে গেলে সে হুমকি দিয়ে বলতো, আমি আত্মহত্যা করে তোদের সবাইকে ফাঁসিয়ে দিবো। তার এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখে বিগত কয়েক বছর তার সাথে আমি সংসার করতে বাধ্য হয়। আমার মা-বাবা ও পরিবারের সাথে খারাপ ব্যবহার ও অত্যাচারের মাত্রা সে দিনদিন বৃদ্ধি করে। তার এমন আচরণে আমার বাবা স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করে। তার এমন আচরণে আমি বাধ্য হয়ে ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠি। যতসামান্য কথাতে সে আমার শরীরে হাত তুলতেও দ্বিধা করতো না। আর প্রতিনিয়তই মোটা অংকের টাকা ও ছাপাখানার স্বত্ব তার নামে লিখে দেবার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করতো।

এক পর্যায়ে আমি অনুন্যপায় হয়ে গত ০৫/১২/২০২৩ ইং তারিখে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক কাজীর মাধ্যমে প্রিয়াকে আমি তালাক প্রদান করি। তালাক দেয়ার পর থেকে এপর্যন্ত প্রিয়া আমাকে সহ আমার আত্নীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে জড়িয়ে প্রায় ১২ টি মামলা দায়ের করেছে। মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায়, ইতোমধ্যেই বিজ্ঞ আদালত চারটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। একটা মামলার তদন্ত শুরু হতে না হতেই সে অন্য থানায় কিংবা আদালতে নতুন কোন মামলা দায়ের করে। মামলার কারণে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পরিবার দাবি করে বলেন, আমরা খোজ নিয়ে দেখেছি, প্রিয়া এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছে। টাকার জন্য আমাদের পরিবারকে সে যেভাবে জালাতন করছে, পূর্ববর্তী স্বামীর পরিবারকেও একইভাবে জ্বালাতন সে করেছে। তার কাজই হলো বিয়ে করে মোটা অংকের টাকা আদায় করা। মামলা তুলে নেবার শর্ত হিসেবে প্রিয়া আমার কাছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, প্রিন্ট মেশিন সহ অন্যান্য স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ দাবি করছে।

উক্ত সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী রিংকুর মা জিন্ন বেগম, ছোট বোন শুকতারা খাতুন ও ভাগনী।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.