ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় এডিপির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্নসাতের ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বের অরসারণের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা জনসাধারনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কাবেরী জালাল, উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এডিপির ৮ টি ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৭৫ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন। তাদের এ কাজে সহযোগীতা করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঠিকাদার বিশ্বজিৎ প্রসাদ। বক্তারা আরও বলেন, সরকারী প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্নসাতের নজির দেশের আর কোথাও নেই। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানান বক্তারা।
গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ দুদকের সহকারি পরিচালক বুলু মিয়া প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন। প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ৮ প্রকল্পের কোন প্রকল্পের অস্তিত্ব তারা খোজে পাননি।
উল্লেখ্য,বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ৮টি প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ৭৫ লাখ টাকা। ৮টি প্রকল্প দরপত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও কাগজে কলমে প্রকল্প দেখিয়ে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কোনো প্রকল্পের কাজই হয়নি। প্রকল্পের কাজ হয়েছে তা খুঁজেই পাওয়া যায়নি। কিন্তু সব ক'টি প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের এডিপি'র বরাদ্দের এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে।
প্রকল্পগুলোর হলো ইছাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য ১০ লাখ টাকা, আন্ধারিয়াপাড়া বিডিএস দাখিল মাদ্রাসা ১০ লাখ টাকা, কাচিচূড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা, সলেমন নেছা এতিমখানা ও দাখিল মাদ্রাসা ১০ লাখ, অন্নেষন উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের রাস্তা (HB) করণ ১০ লাখ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি ১০ লাখ, উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টার মেরামত ৫ লাখ টাকা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দুদকের তদন্তের পর থেকে অফিসে রয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (বদলিকৃত) কাবেরি জালাল কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।