থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এবারও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নেই। তবে কয়েকটি তারকা হোটেল প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নানা আয়োজন রেখেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সৈকতের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান থাকছে না। সৈকতে আতশবাজি, পটকা ফুটানো নিষিদ্ধ। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একাধিক তারকা হোটেল কনসার্টের আয়োজন করছে। সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
শান্তিপূর্ণভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন সম্পন্ন করতে গত মঙ্গলবার জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা ও হোটেলমালিকদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং শান্তিপূর্ণভাবে বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে।
আর পুরনো ইংরেজি বর্ষকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবারে সৈকতে কোনো ওপেন প্রোগ্রাম বা আয়োজন থাকছে না। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সৈকতে কোনো প্রকার আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো কিংবা ফটকা ফোটানো যাবে না। তবে তারকামানের বিভিন্ন হোটেল তাদের নিজস্ব অতিথিদের জন্য ডিজে শো, মিউজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের প্রায় সব হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার জানিয়েছেন, তারকামানের সব হোটেল আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো রুম খালি নেই বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা। তিনি মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, অতিথিদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে।
হোটেল সিগালের প্রধান নির্বাহী ইমরুল হাসান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, অতিথিদের জন্য থার্টি ফার্স্ট নাইটে লাইভ মিউজিকের আয়োজন করা হয়েছে। হোটেল সায়মানের ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের হোটেলে কয়েকজন শিল্পী গান পরিবেশন করবেন। ওশান প্যারাডাইস হোটেলের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু জানান, ইন হাউস অতিথিদের জন্য ডিজে শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাশ্রয়ী প্যাকেজে যারা ওই দিন হোটেলে আসবেন, তারা এসব উপভোগের সুযোগ পাবেন।
পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, যানজট এড়াতে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।