কদিন আগেও যে ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হতো ৩০-৪০ টাকায় এখন তা প্রতি পিস ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ এছাড়াও পেঁয়াজ, বেগুন, শিম, লাউ,শাক, আলু সহ বিভিন্ন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর হাট, দাম কমাতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাজারে শীতকালীন প্রচুর সবজি ওঠছে। ফলে দাম এখন নাগালের মধ্যে ক্রেতাদের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি চলে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।।
বছরের শুরতেই জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন অনেকেই। কদিন আগেই ছিলো দুশ্চিন্তার ছাপ।
সরেজমিনে আজ ১ (জানুয়ারী) কটিয়াদীর সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজারের নদীর বাঁধ হাট সহ একাধিক বাজারে গিয়ে ভোরে দেখা যায়, প্রতি পিস ফুলকপি পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ শিম ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০-৪০ টাকা কেজি, লাউ পিস ১৫-৩০৷ নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ফুল ৫ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ১১০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা কেজি, এক হালি পালং ও লাল শাক ২০ টাকা, মুলা এক হালি ৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে৷ এছাড়াও প্রায় সবরকম সবজির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।
সবজি কিনতে আসা আরিফুর রহমান বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি এসেছে অনেক। দাম অনেকটাই কমে এসেছে৷ কিছুদিন আগে তো বাজার ছিলো চড়া৷ দামটা নিয়ন্ত্রণে থাকলে মনটা ভালো থাকে। নতুন বছরের শুরতেই এটা আমার জন্য স্বস্তির।
সবজি ব্যাবসায়ী ইদ্রিস বলেন, শীতকালীন সবজির ফলন হয়েছে ভালো। সবখানেই এখন সবজি পাওয়া যায়৷ এজন্য দাম কমে যাচ্ছে৷ রপ্তানি করতে পারলে কৃষকরা ভালো দাম পেতো৷ পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসছে কম এখন৷ তাই অনেক সবজিতে কৃষক লাভবান কম হচ্ছে৷