১৯৭৮ সালে এই পরিদপ্তরকে সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠনমূলক বিভাগ হিসেবে উন্নীত করা হয়। ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ৪ জুন বাংলাদেশ সরকার ২ জানুয়ারিকে সমাজসেবা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে সরকারের সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৫ পালিত হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করতে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়াাদিবসটি তারই বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। দরিদ্র, অসহায় শিশু, প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা, নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।
নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে লক্ষ্মীপুরে নানা আয়োজনে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সমাজসেবা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
সকালে দুই প্রজম্মের নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে জেলা স্টেডিয়াম হতে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত ওয়াকাথন প্রতিযোগিতার এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার। পরে পরিষদ মিলনায়তনে কল্যাণ রাষ্ট্র বিষয়ক মুক্ত আড্ডায় মিলিত হন সবাই। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সনাক সভাপতি জেড এম ফারুকী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরুণ প্রজম্ম ও সর্বস্তরের জনগণ। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, হাটার প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে শীতের তীব্রতা যেমনি দূর হয়ে যাবে, তেমনি আমাদের জীবনের আরো ভারসাম্য ও গতিশীলতার পাশাপাশি সমাজেরও একটি গতি তৈরী হবে।
আড্ডা শেষে পুরুষ্কার বিতরণ, শীতার্থদের মাঝে কম্বল ও প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিগণের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।