২০২৪ কে বিদায় ও নতুন বছরের আগম উপলক্ষে গত দুই সপ্তাহ ধরে পর্যটকে মুখরিত মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। শীত মৌসুম ও বিভিন্ন ছুটিতে প্রতি বছরই ন্যায় এবছরেও জেলার বিশেষ পর্যটনকেন্দ্রে গুলোতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভিড় জমান পর্যটকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জল প্রভাত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাহক বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান,হাওর, বিল, ও জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকেরা ভীড় করছেন। দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। শীত মৌসুমের ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন কমলগঞ্জ উপজেলা সহ মৌলভীবাজার জেলায়।
কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকেট কাউন্টার থেকে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রায় ১৮ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছেন এর মধ্যে বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটক পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন পর এই শীত মৌসুমে সকল ধরনের পর্যটন ব্যবসায় আশানোরুপ ভালো হয়েছে। পর্যটন শিল্প নিয়ে যে হতাশা ছিলো তা কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করলে আগামীতে আরও পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মুরাদ হোসেন বলেন, আমি পেশায় একজন চিকিৎসক। আমরা পরিবার নিয়ে মৌলভীবাজারে ঘুরতে এসেছি। এই জেলার মধ্যে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একসাথে অনেক গুলো পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়। প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি এখানকার রিসোর্ট গুলো অনেক সুন্দর।
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ জোনের টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সকল পর্যটন স্পটগুলোতে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় বলেন, এ জেলায় শীত মৌসুমে অনেক বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকেরা যেন নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই ব্যাপারে পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।