× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বিপিএল বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সরকারি কর্মকর্তা লাঞ্চিত

বাগমারায় বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যের হাতে

রাজশাহী ব্যুরো

০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৮ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

রাজশাহীর বাগমারায় সরকারী এক কর্মকর্তাকে এক বিএনপি’র নেতা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে । ওই কর্মকর্তা বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের প্রসাশকের দায়ীত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে আজ  (৬ জানুয়ারী) উপজেলার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ বহিস্কৃত এিনপির নেতা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ঠ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর পরই বিএনপি ও জামায়াত পন্থী লোকদের রোষানলে পড়েন আ’লীগের নেতাকর্মীরা। নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, উপজেলা আ. লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল। 

সরকারী নির্দেশ মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের কাজ কর্ম পরিচালনার জন্য প্রসাশক নিয়োগের সিদ্বান্ত নেয়া হয়। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব নেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ব্যর্থ হয়ে জেলা প্রসাশকের কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব গ্রহনের একটি লিখিত কাগজ নিয়ে আসেন এবং চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব পালন করতে থাকেন।

বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য ইউপি সদস্যদের সাথে তার দুরত্ব সৃষ্টি হয়। পরে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা সম্মিলিত ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে তিনি রফিকুল ইসলামকে দায়ীত্ব থেকে অব্যাহতি দেন এবং প্রসাশক হিসেবে উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলাম মিলনকে দায়ীত্ব দেন।

দায়ীত্ব পালনের জন্য সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আইসিটি কর্মকর্তা তাজরুল ইসলাম নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের গেলে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে ঘরে আটকে রাখে। ঘটনাটি নিয়ে ইউপি সদস্য আজাহার আলী প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার লোকজন তাকে পিটিয়ে জখম করে।

খবর পেয়ে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা তাদের লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে রফিকুল ইসলামের লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এপর্যায়ে স্থানীয়রা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে ধরে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম ও বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মাষ্টার মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির আহবায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়ী করেছেন। তারই উস্কানিতে নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদে এমন ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান।

অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লাঞ্চিত করার ঘটনাটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সেখানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামের এক ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হতে পারে বলে জানান তিনি।

যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জনতার হাত থেকে বিএনপি’র ওই নেতাকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.