সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর। গত ২০২১ সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ'র গুলিতে নির্মম হত্যারকাণ্ডের শিকার হয় ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। কাঁটাতারে ঝুলন্ত শহীদ ফেলানীর সেই হৃদয়বিদারক ছবি আজও বাংলাদেশকে কাঁদায়!
আজ (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে "ফেলানী হত্যা চাই" এতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। PATRIOTS OF BANGLADESH স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের ভাষ্য বলেন, খুনী হাসিনার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে অসংখ্য বাংলাদেশিকে।
আরোও বলেন,২০০৯ থেকে ২০২৪ এর নভেম্বর পর্যন্ত তারা ৫৮৮ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। গুলি করে, নির্যাতন করে আহত করেছে আরও ৭৭৩ জন বাংলাদেশিকে। আজ ১ যুগ পার হলেও এইসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচারের উদ্যোগ নেয়নি ইন্ডিয়ান গভমেন্ট ও পলাতক হাসিনার সরকার।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই সব হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, তারা প্রতিবেশি নয়, আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ স্বাধীন হলো, সার্বভৌম রাষ্ট্র হলো - সেই দেশে ইন্ডিয়ান সরকারের এমন হত্যাকাণ্ডের জন্য কেন উদ্যোগ নেয়নি?
শহীদ কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারে কেন মোদি সরকার আগ্রহী নয়? তবে কার নির্দেশে সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হয়েছে?
এসময় ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানের বাংলাদেশ এর জবাব চায়। ইন্ডিয়াকে অবশ্যই এর জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড় করাতে হবে।
এইসব নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মীমাংসা ইন্ডিয়াকে অবশ্যই করতে হবে। নতুবা স্বাধীন বাংলাদেশ এর দাঁতভাঙা জবাব দিবে। কোনো ষড়যন্ত্র আর সহ্য করা হবে না। সীমান্তে যদি আর একটা গুলিও ছোঁড়ে ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ তার শক্ত জবাব দেয়া শুরু করবে। ইন্ডিয়ার জেনে রাখা উচিত, তাদের পাচাটা পুতুল সরকার খুনী হাসিনা সরকারের যুগ শেষ।
নতুন করে সমীকরণ আর হিসাব নিকাশ করার সময় এসেছে। ইন্ডিয়াকে এসব হত্যাকাণ্ডের হিসাব পাই পাই করে দিতেই হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, শহীদ ফেলানী দিবসকে জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা করার। কিশোরী শহীদ ফেলানী আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
শহীদ ফেলানীর রক্ত বৃথা যেতে পারে না। কখনোই না । এসবের হিসাব ইন্ডিয়াকে কড়ায় গণ্ডায় দিতেই হবে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগানে মুখরিত ছিলেন PATRIOTS OF BANGLADESH সংগঠন।