× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বিপিএল বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

৪০ হাজার কেজি চাল-ডাল ও তেল গোডাউনে

টিসিবি’র পণ্য বিক্রিতে বাঁধা বিএনপির

রাজশাহী ব্যুরো

০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৬ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

রাজশাহী নগরীর ৩ নং ওয়ার্ডে ২ হাজার ৫৩৩ জন কার্ডধারী ও সুবিধাভোগী নিম্ন আয়ের মানুষরা তিনমাস ধরে পাচ্ছেনা টিসিবি'র পণ্য। বিএনপির স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা টিসিবি'র পণ্য গেল বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখন অবদি বিক্রি করতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ববর্তী সকল কার্ড বাতিল করা হবে বলেও মৌক্ষিক ঘোষনা দিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

নতুন করে তালিকা তৈরির পর টিসিবি'র পণ্য দেয়া হবে বলেও জানান তারা। টিসিবি’র পণ্য কম টাকায় কিনতে না পেরে উচ্চমূল্যের এই বাজারে হিমশিম খাচ্ছে ঐ ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের মানুষরা। বিভিন্ন দপ্তর ও কর্তাদের সাথে যোগাযোগ ও অভিযোগ দিয়েও মিলছেনা কোন সুরাহা। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারী) দুপুরে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশর রাজশাহী শাখায় অভিযোগগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন ভুক্তভোগী নিম্ন আয়ের (টিসিবি;র কার্ডধারী) ব্যক্তিরা।

এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন পয়েন্টে মোট চারজন টিসিবি'র পণ্য বিক্রি করেন। এরা হলেন, মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জাহান ট্রেডার্স, শাহানাজ কন্সট্রাকশন ও মেসার্স জুবেলী ট্রেডার্স। উত্তোলন করা পণ্যগুলো বিগত কয়েকমাস ধরে অবিক্রিতবস্থায় থাকার কারণে তারাও পড়েছেন চরম বিপাকে।

বাঁধাহীনভাবে পণ্য বিক্রির জন্য ডিলাররা ইতোমধ্যে লিখিতভাবে সহোযোগিতা চেয়ে ডিলারগণ আবেদন করেছেন সংশ্লিষ্ট রাজপাড়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ, উক্ত ওয়ার্ডের প্রশাসক ও রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাদশা মিয়া, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর। কিন্তু তাতেও কোন সুফল পাননি তারা।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা বলেন, দুইমাস পর আজ ৮ জানুয়ারি'২০২৫ তারিখে সেলস পয়েন্ট থেকে টিসিবি'র পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাঁধারমুখে সেটি ভেস্তে যায়। ডিলারদেরকে তারা পণ্য বিক্রি করতে দেয়নি। পূর্ববর্তী ওয়ার্ড সচিব আহাদকে জোড়পূর্বক কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে বিএনপির মনোনীত ব্যক্তি সামসুল হককে ওয়ার্ড সচিবের চেয়ারে বসানো হয়েছে। ওয়ার্ড সচিব ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাধারণ শাখার উচ্চমান সহকারী হুমায়ন টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

কিন্ত এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা। ওয়ার্ড সচিব সামসুল হক বলেন, আমি এখানে সদ্য (০৯-১২-২০২৪) যোগদান করেছি। টিসিবি’র পণ্য বিক্রিকে কেন্দ্র করে এই ওয়ার্ডে তিনটি গ্রুপের মধ্যে আন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হয়েছে।

কোন গ্রুপ বলছে আগের কার্ডেই পণ্য দিতে, তো অন্যগ্রুপ বলছে নতুন করে তালিকা প্রণয়ণের কথা। আরেক গ্রুপ বলছে, জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে নিজদলের ব্যক্তিকে সরকারি পণ্য দেবার কথা। বেশ উত্তেজনা বিড়াজ করছে এই টিসিবি’র পণ্যকে কেন্দ্র করে। তাই উপর মহলের নির্দেশনার অপেক্ষায় আমরা আছি। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পুণরায় শুরু হবে। এদিকে, রাসিকের সাধারণ শাখায় কর্মরত হুমায়ন বলেন, আমি তো নিষেধ করা কেউ না। অভিযোগটি মিথ্যা।    

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের দলীয় লোকজনের নামের একটি তালিকা তৈরি করছে। তারা নিজেদের দলের নেতাকর্মী ব্যতীত পূর্ববর্তী কার্ডধারীদের কাউকেউ সরকারি পণ্য কমমূল্যে কেনার সুযোগ দিতে চাচ্ছেনা। আমাদের কার্ডগুলো এখন মূল্যহীন বলেও জানান তারা।

আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমরা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না। কিন্তু বিগত সময়ে আমরা কার্ডধারী হয়েছি, এটাই আমাদের অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেও কোন সুফল আমরা পায়নি। উচ্চমূল্যের এই বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা।

টিসিবি’র ডিলার মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকার কামাল বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে টিসিবি'র পণ্য দেয়া সম্ভব কিনা সেটি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আমরা কথা বলবো। রাজনৈতিক কোন চাঁপ আছেকিনা জানতে চাইলে, ঝামেলা হবে বলে কোন ডিলার এবিষয়ে মুখ খোলেননি।

জানতে চাইলে ডিলাররা বলেন, গেল বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মাসের চাল ও ডাল এখনো মজুদ রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের জন্য তেল বরাদ্দ ছিলনা। তাই নভেম্বর মাসে পাওয়া সোয়াবিন তেল এখনো পর্যন্ত গোডাউনেই মজুদ রয়েছে।

সে হিসেবে বিগত দুইমাসের হিসেবানুযায়ী ২৫ হাজার ৩৩০ কেজি চাল, ১০ হাজার ১৩২ কেজি ডাল ও ৫ হাজার ৬৬ লিটার সোয়াবিন তেল এখনো পর্যন্ত সুবিধাভোগীদের কাছে বিক্রি করতে পারেনি ডিলাররা। টিসিবি’র পণ্য বিতরণকে ঘিরে চলমান বাঁধাবিপত্তি আর উত্তেজনার কারণে পণ্যগুলো মাসের পর মাস পরে পরে গোডাউনে।

উচ্চমূল্যের এই বাজারে সরকারি পণ্য এভাবে গোডাউনে পরে থাকলে স্থানীয় খুচরা বাজারের আরো বৃদ্ধি পাবে নিত্যপণ্যের দাম বলে মন্তব্য সচেতন ব্যক্তিদের।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.