নাটোরের বড়হরিশপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে চুরি ও সেবাইত তরুন দাস হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সবুজ হোসেন নামে এক যুবককে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে নাটোর পুলিশ। গতরাতে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে নাটোর মহাশ্মশানে সাংবাদিকদের সামনে তাকে উপস্থিত করে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন। গ্রেফতারকৃত সবুজ হোসেন বড়হরিশপুর এলাকার রমজান আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান,গত ২১ ডিসেম্বর সকালে নাটোর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের মন্দির,ভান্ডার ঘর,ভোগ ঘরের তালা ভেঙ্গে চুরি ও ভোগ ঘরের বারান্দায় হাত পা বাধা তরুন দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত তরুন দাসের ছেলে তপু দাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্রগাম থেকে সবুজ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত সবুজ এবং জড়িত আরো কয়েকজনের নাম ও তথ্য দিয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ না করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন। তিনি আরো বলেন,সবুজ হোসেন সহ অন্যরা মহাশ্মশানে চুরি করতে গিয়ে মন্দিরে উপস্থিত তরুন চন্দ্র দাস তাদেে দেখে ফেলে। এ সময় তারা তরুণ চন্দ্র দাসের হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নাটোর সদরের বড় হরিশপুর মহাশ্মশান এর ভান্ডার ঘরের সামনে থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তরুণ দাস নামের একজনের মরদেহ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শ্মশানের মন্দিরের গ্রিল ভেঙে কাঁসার বাসন-কোসন এবং দান বাক্স ভেঙে টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই খবরটি দেখে বিদেশে চাঞ্চলের সৃষ্টি করে।