'আদিবাসী' শব্দ শুনলে কিছু উগ্রবাদী ভুইভোড় সংগঠন উঠে পড়ে লেগে থাকে। নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে গেলে পাহাড়ের বিভিন্ন সংন্ত্রাসী, জুমল্যান্ড ও রাষ্টবিরোধীসহ নানা কিছু তকমা লাগিয়ে পাহাড় আর সমতলে আদিবাসীদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রের সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ আদিবাসীদেরকে বিছিন্ন করে রেখেছে। আমরা বিছিন্ন হতে চাই না, বাংলাদেশ থেকে আমাদেরকে বিছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় আদিবাসী ছাত্র জনতার এনসিটিবি ভবন ঘেরাও'র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামক সংগঠনের সদস্য কর্তৃক নৃশংস হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়। শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ।
সমাবেশে মানবাধিকার কর্মী লেলুং খুমী, বান্দরবান দূর্নীতি দমন কমিশনের সভাপতি অংচমং মার্মা, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইং সাইংউ নিনি, ছাত্র প্রতিনিধি হ্লামংসিং মার্মা, উহ্লাচিং মারমা জন ত্রিপুরা, চুংইয়োই ম্রো ও উহ্লিসিং মার্মা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী 'স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি' সন্ত্রাসী সংগঠনের লোকজন শান্তিপূর্ণ অধিকার আদায় আন্দোলনে আদিবাসী ছাত্রজনতার উপর অতর্কিতে হামলা করে। এতে ১০-১৫ জন আহত হয়। রাষ্ট্র এখানে দায় এড়াতে পারে না।
বক্তারা আরো বলেন, একগোষ্ঠি নিয়ে কখনো দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। একটি দেশ গঠন করতে গেলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু উস্কানিমূলক সংগঠন কারণে পাহাড় আর সমতলে মানুষ সবকিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাধীন দেশে নিজেদের অধিকার আদায় করতে গেলে রক্তের বলিদান দিতে হচ্ছে। তাই রক্ত এক বিন্দু থাকতে আমরা আর পিছু হব না নিজেদের অধিকার লড়াই করে আদায় করব। তাই বাতিলকৃত গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের পাশাপাশি আদিবাসী উপর হামলা জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি নিকট প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি তুলে দেন আদিবাসী ছাত্র জনতা।