আমদানি নির্ভর নয়, রপ্তানি নির্ভর কৃষিভিত্তিক শিল্প গঠনের মাধ্যমে আগামীতে দেশকে সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করাই দেশনায়ক তারেক জিয়ার মূল লক্ষ্য। সবার আগে তিনি প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবেন, গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন না হলে কোন উন্নয়নই যথেষ্ট হয় না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ খান।
আজ (২১ জানুয়ারি ) বিকেলে সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিশাল কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামীতে যদি তারেক রহমানকে আপনারা ভোট দিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসান তাহলে কোন কৃষককে উৎপাদিত ফসল নিয়ে হাটে বাজারে ঘুড়তে হবে না। প্রতিটি ইউনিয়নে শস্য ক্রয়কেন্দ প্রতিষ্ঠা করা হবে। কৃষক তার ন্যায্যমূল্য পাবেন। কৃষকদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে শস্য বিমা চালু করবেন। যেখানে খাল খনন ছিল ওটা সংস্কার করা হবে। আর যেখানে খাল খনন নেই ওখানে খাল খনন শুরু করা হবে। কৃষিভিত্তিক শিল্প কল কারখানা গড়ে তোলা হবে। কোন মা-বোন বেকার থাকবে না। বিনা সুদে লোন দেওয়া হবে।
হাসিনার শাসনামলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসিনার ১৭ বছরের শাসনামলে দেশের মানুষ বাইরে থাকলেও মূলত কারাগারে থাকার মত ছিলাম। আমাদের কোন মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হতো। সবাইকে গলা চেপে ধরা হয়েছিল। তারই বাবা শেখ মুজিব শাসক নয় দেশকে শোষকে পরিণত করেছিল। তার মৃত্যুতে কান্না তো দুরের কথা মানুষজন মাঠেঘাটে মিষ্টি বিতরণ করা করেছিল।
৩ বছর পর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে দেশের প্রতিটি প্রান্তের গাছগালাগুলোও কেঁদেছিল। সাধারণ মানুষের মত মাঠে নেমে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাড়ির আঙিনায় চাষবাস শুরু করেছিলেন তিনি। সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করেছিল।
বিএনপির নামে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল পার্টি, নবাগত পার্টি ও বিশৃঙ্খলা পার্টি জিয়াউর রহমানের আদর্শের হতে পারে না। এরা আমাদের (বিএনপির) নয়। যে অবস্থায় চাঁদাবাজদের পাবেন পুলিশে ধরিয়ে দিবেন। চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
কৃষকদলের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনিছুল হক বাবু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবুল হাশেম এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র সহ- সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বাচ্চু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুন্না,সাংগাঠনিক সাম্পাদক আমিরুল ইসলাম নিক্সন, পাবনা সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মো: সাইদুল ইসলাম ছাপ্পান প্রমুখ।