ভোলার চরফ্যাসনে গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের ৩ নারী সহ ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন বেরীবাধের পাশে অটোচালক সাত্তারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোচালক আঃ সাত্তার (৩৯), ও তার স্ত্রী আরজু বেগম (৩০), ছেলে ইয়ামিন (১২), বোন মোরশেদা (২৫), ফারুক (২৫), খালা কহিনুর (৬০)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সূত্র জানা যায়, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বেরীবাঁধের ঢালে প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছে অটোচালক সাত্তারের বাবা মো.এছহাক। সেখানেই বনবিভাগ ও সাত্তারের বাবা এছাক বসত ঘরের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে বসবাস করে আসছে।
সম্প্রতি প্রতিবেশী আব্দুল হাসেমের ছেলে শাহাবুদ্দিন ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দক্ষিণ আইচা বিএনপির কর্মী পরিচয় দিয়ে সাত্তারের জমি দখলের চেষ্টা করেন এবং জায়গায় থেকে উৎখাতের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনারদিন দুপুরে প্রতিবেশী শাহাবুদিন, ও তার জামাতা হাসান, শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা, বিয়াই শামছল সহ ৫/৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে সাত্তারের ভোগদখলীয় জমি থেকে গাছ কাটতে শুরু করেন । সাত্তার গাছ কাটতে বাধা দিলে তারা দা দিয়ে সাত্তারকে কোপাতে থাকে ।
ওই সময় সাত্তারের স্ত্রী তাকে উদ্ধার করতে গেলে ওই দা দিয়ে তার স্ত্রী আরজুর বেগমের ডান হাত ও সাত্তারের বোন মোরশেদা বেগমের বাম হাতে কোপ দেয়। এতে গুরুত্বর আহত হন তারা দুইজন। তাদের উদ্ধার করতে গেলে সাত্তারের খালা কহিনুর বেগম, ফারুককে হামলা ও মারধর করেন শাহাবুদ্দিন গংরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দক্ষিণ আইচা বাজার পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিলে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ নারীসহ তিনজনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণ আইচা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
অভিযুক্ত মো.শাহাবুদ্দিন নিজেকে রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং মারধর ও কুপিয়ে জখম করার বিষয়টিকে অস্বীকার করে জানান, আমি ২০১৮ সালে স্থানীয় ছবুল্লার কাছ থেকে প্রায় ১৭ শ স্কয়ার ফুট জমি ক্রয় করে ভোগদখলে আছি।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।