লক্ষ্মীপুরে গ্রাহকদের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট শাখার মালিক নাসির উদ্দিন। এঘটনার পর থেকে ওই শাখা ব্যাংকটির সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। টাকার চিন্তায় স্ট্রোক করে প্যারালাইসড হয়েছে ব্যাংকটির প্রবাসী গ্রাহক রহিম খানের বৃদ্ধ মা। এদিকে টাকা পেতে গ্রাহকরা ধরণা দিচ্ছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে। ঘটনার সপ্তাহ পার হলেও এখনো কোন হদিস মেলেনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নাসির ও জিয়ার।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মিরিকপুর বাজারে আকবর এন্টারপ্রাইজ এর নামে লাইসেন্স নিয়ে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি আউটলেট শাখা পরিচালনা করেন নাসির উদ্দিন। এ শাখাটি মিরিকপুর এলাকার সোলেমান পাটোয়ারীর ছেলে শহিদ উল্ল্যাহ জিয়া দেখভালো করতেন। পরিচালক নাসির উদ্দিন খোকন পৌরসভার সাহাপুর এলাকার জেলে বাড়ির আলী আকবরের ছেলে।
প্রবাসী রহিমের বোন ও স্থানীয়রা জানান, প্রবাস থেকে পাঠানো রহিমের টাকা তার বোন সরল বিশ্বাসে স্থানীয় মিরিকপুর বাজারে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক দেখে জমা দেন। পরে সার্ভারে সমস্যা ও নানা চলচাতুরী করে তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তাদের অ্যকাউস্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। শুধু তাই নয়, ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকুরী করেন কবির হোসেন। এফডিআর করতে পাঁচ লাখ টাকা জমা দেন তিনি। এসময় ওই ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা পাঁচ লাখ টাকা জমার জাল রশিদ প্রদান করেন তাকে। এসব ঘটনার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন তারা।
এঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাংকের গ্রাহকরা মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।