ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার প্রার্থী আহমেদ রায়হান ফারহী ও সাধারণ সম্পাদক হবিগঞ্জ জেলার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার শাহিনুর রহমান ও সিলেট জেলার রুবেল আহমদ রাহী।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত টিএসসির শহীদ মুনীর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে সিলেট বিভাগের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাতে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি আহমেদ রায়হান ফারহি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল আরবি বিভাগের ৪র্থ বর্ষে, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪র্থ বর্ষে, কোষাধ্যক্ষ রাহী দর্শন বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।
সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিগত কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে ছিল। অনুচ্ছেদ ৭ এর জেলা কোটা অনুসারে এবছর হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকী দুই জেলা থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। জুলাই গণভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তুলতে ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলার দিন ১৫ জুলাই, শহীদ আবু সাঈদের শহীদ দিবস ১৬ জুলাই, ঢাবিতে ছাত্রলীগ মুক্ত দিবস ১৭ জুলাই, ৫ আগস্ট এবং ৩৬ জুলাই ব্যালট হিসেবে রাখা হয়।
নির্বাচনে ২২৮ জন শিক্ষার্থী ভোট দেন। ৩৬ জুলাই ব্যালট থেকে সর্বোচ্চ ১৪২ ভোট পেয়ে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচিত হন আহমেদ রায়হান ফারহি। ১৬ জুলাই ব্যালটে হবিগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন।
জেলা কোটার শর্ত অনুযায়ী দুই জেলার নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে অধিক সংখ্যক ভোট পাওয়ায় আহমেদ রায়হান ফারহীকে সভাপতি এবং মোফাজ্জল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দুজনের সমঝোতার ভিত্তিতে শাহিনুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও রুবেল আহমেদ রাহীকে কোষাধ্যক্ষ ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন জাকি হাসান ইফতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন ঢাবির মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক মো. হারুন মিয়া। এছাড়া ছিলেন মনসুর রাফি, রেজোয়ান আহমদ, শামছুল আরেফিন সাহান, শায়লা আক্তার লুবনা, মারিয়া আক্তার।