রংপুরে নগরীতে প্লাস্টিক মবিল লৌহ সরঞ্জামসহ বিভিন্ন মেটালের পণ্য পুড়ে ভয়াবহ ভাবে পরিবেশ দূষণ করছে আয়নাল নামের এক কুচক্রী ব্যবসায়ী। সে' শুধু পরিবেশ দূষণে নয়, অসহায় শ্রমিকদের সামান্য বেতনে মরনব্যাধীর সম্মুখীন করছে। জীবাণুযুক্ত বর্জ থেকে বিভিন্ন প্লাস্টিকসহ নানান পণ্য সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে সরবরাহ করে তিনি বড়ধরনের আর্থিক ফায়দা লুটলেও প্রশাসনের নজরে আসছেনা নগরীর সাতমাথা নাসনিয়া এলাকায় অবস্থিত আয়নালের এই অবৈধ ভাঙ্গারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বাহিরে থেকে দেখাযায়, নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ময়লা আবর্জনা থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যেসহ ভাঙ্গারি হিসাবে ক্রয়কৃত বিভিন্ন লৌহ সরঞ্জাম দিয়ে স্তূপ করে রাখা কারখানার ভিতরে জ্বলছে চুরিকৃত ইলেকট্রিক কেবলসহ বিভিন্ন মেটালের পণ্য। এছাড়াও বিশাল হাইড্রোলিক প্রেসার মেশিন দ্বারা প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং কাজ চলছে শিশু কিশোরসহ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের লোকজননের মাধ্যমে। তাদের না আছে হ্যান্ড গ্লাভস ,না আছে মাস্ক, চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে বাছাই করছে বিভিন্ন পন্য। সেগুলো হাইড্রোলিক মেশিনের প্রেসারে সাইজ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে বাজারজাত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে উঠা এই প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং কারখানায় টায়ার মবিল প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন মেটালের পণ্য পুড়ছে। এতে বায়ু দূষণে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন সিসার নির্গত গ্যাস আর বড় হাইড্রোলিক প্রেসার মেশিন এর বিকট শব্দে এলাকায় বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
অতিশীঘ্রই এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মরনব্যাধী রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
তবে পরিবেশ দূষণকারী এই প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে চালাচ্ছে,সে বিষয়ে স্বত্বাধিকারী আয়নাল হোসেন প্রতিবেদককে বলেন,আমার ব্যবসা করতে কারো অনুমতি লাগেনা।
এবিষয়ে রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কমল কুমার বর্মন প্রতিবেদককে বলেন,যেসকল প্রতিষ্ঠান পরিবেশ দূষণ করছে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জানা ছিলনা, বিষয়টি যথাযথ ভাবে ক্ষতিয়ে দেখে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।