হবিগঞ্জের বাহুবল রশিদপুর গ্যাসফিল্ড এলাকায় মা হাতি দিয়ে রাস্তায় গাড়ী আটক করে অনৈতিক ভাবে চাঁদাবাজি করার সময় মাহুত সহ মা হাতিটিকে আটক করে বন বিভাগ।
আজ (২৫ (জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাতির কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে সঠিক থাকায় মুছলেখা নিয়ে হাতিটিকে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফা-তু-জো খালেক মিলা, বন্যপ্রাণী বিভাগের রেঞ্জার নাজমুল হোসেন, বন বিভাগের স্টাফ ও বন্যপ্রাণী গবেষক, ওমর শাহাদাত, সুলতান আহমেদ সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মোঃ সাব্বির আহাম্মেদ, উজ্জ্বল দাস, আবু মুসা রাজু, মাহফুজ হিমেল।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাতিটি কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের মো: সোনা মিয়া। হাতিটি লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি মালিকানা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে হাতিলালন পালন করে আসছেন।
এবিষয়ে হাতির মালিকের ছেলে কামরুল ইসলাম মোটোফোনে দুঃখ্য প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত! আমাদের হাতিটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে ছিল। মূল মাহুত সাথে না থাকায় হেল্পার রাস্তায় চাঁদাবাজির মতো এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়। পরবর্তীতে এরকম ঘটনা আর হবে না। এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। আজকে দয়া করে সবাই আমাদেরকে সহযোগিতা করেন।
এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, রাস্তায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করায় এই হাতির ব্যাপারে সন্ধেহ হয়েছিল। পরে কাগজপত্র যাচাই বাঁচাই করে হাতির মালিকের মুছলেখা নিয়ে হাতিটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফা-তু-জো খালেক মিলা বলেন, প্রথমে ট্যাুরিস্ট ভেবে হাতির মাহুত আমাদের গাড়ী আটক করে চাঁদা দাবি করেন। তখন তাকে আমরা আটক করি। তারপর হাতির মালিকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি। এবিষয়ে মালিক কিছুই জানে না। ভবিষ্যৎে এমন কাজ করবে না বলে বন বিভাগের কাছে লিখিত দেওয়ায় প্রাথমিক ভাবে তাঁকে ছেড়ে দেই।