রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়; রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আসা ক্ষুব্ধ যাত্রীরা গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে স্টেশনের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও ভাংচুর চালায়। এই অপকর্মের মূলহতা হিসেবে চিহৃত হওয়া সুমন আহম্মেদকে সনাক্তপূর্বক গ্ৰেফতার করা হয়েছে বলে জানাই পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র। অভিযুক্ত সুমনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আরএমপি সাইবার ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে সুমনকে। এ সংক্রান্ত ঘটনায় জিআরপি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সুমন আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরতদের দেয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেন কয়েকশো যাত্রী। বিভিন্ন গন্তব্যে যাবার জন্য অগ্ৰীম টিকেট কাটা যাত্রীরা স্টেশনে এসে ক্ষুব্দ হয়ে কিছুটা হোইহুল্লোর ও বিক্ষোপ করার একপর্যায়ে অভিযুক্ত সুমনসহ আরো কয়েকজন যাত্রীর উস্কানিতে উচ্ছৃংখল যাত্রীরা রেলওয়ে স্টেশনের টিকেটিং অফিসের কক্ষে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এছাড়াও স্টেশনের প্লাটফর্ম সংলগ্ন উন্মুক্তস্থানে যাত্রীদের বসার জন্য পেতে রাখা প্রায় বিশটি চেয়ারও ভাংচুর করে তারা। বিক্ষোভ ও ভাংচুরকারীদের ভয়ে স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বাধ্য হয়ে প্রাণভয়ে নিজ নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন। অবশেষে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয় পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী থেকে দেশের বিভিন্নরুটে মোট ১২ জোড়া আন্তঃনগর সহ বিভিন্ন রুটে ৬ জোড়া মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে বলে জানান রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক ময়েন উদ্দিন। তিনি আরো জানান, সকল যাত্রীকেই ক্রয়কৃত টিকেটের বিপরীতে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।