মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়ায় তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড এর সামনে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ৪ ঘন্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন চলমান।
সরেজমিনে দেখা যায়,আজ (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০ ট থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধনে গোলড়া গ্রামের শত শত এলাকাবাসী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও সাটুরিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে এলাকাবাসীর দাবী পূরণে মৌখিক আশ্বাস দিলেও স্থানীয় রা তা মেনে নেয়নি।
এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন , দীর্ঘ ১৭ বছর প্রভাবশালী কিছু স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি তাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে । সড়কটি বন্ধ হওয়ার কারনে রোগী বা তাদের কৃষি পণ্য নিয়ে অনেক কিলোমিটার ঘুরে বাজারে যেতে হয়।
মনির হোসের নামের এক স্থানীয় জানান, এ রাস্তাটি আমাদের চলাচলের এক মাএ মাধ্যমে ছিলো। কিন্ত স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে কোম্পানির কাছ থেকে টাকা খেয়ে তারা প্রভাব বিস্তার করে এ রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এ রাস্তা না অবমুক্ত না হওয়া পযন্ত মহাসড়কে মানববন্ধন চালিয়ে যাবো।
স্থানীয় জনগনের অভিযোগ, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে মোটা অংকের টাকা খেয়ে দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে কোম্পানিগুলো কে রাতারাতি সড়কে পাকা দেয়াল তুলে দিয়েছে। যার কারনে দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপল চন্দ্র দাস বলেন, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিমান্ত দ্বার ঘেষে এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য সড়ক ছিলো। পরে কোম্পানী স্থানীয় ব্যক্তিদের সাহায্যে ওই জমি কিনে নিয়ে ফ্যাক্টরী নির্মাণ করলে পায়ে হাঁটার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন পর এলাকাবাসী আগের সেই সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে গ্রামবাসীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন।
এ সময় সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, বেলা ১০ টা থেকে গোলড়া গ্রামের মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলছে, আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।
অপরদিকে, অবরোধকারীরা জানান, যতক্ষণ না তাদের সড়ক পুনরুদ্ধার করা হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না।
দীর্ঘ সময় মহাসড়কে মানববন্ধন থাকার কারনে মহাসড়কের দুই পাশে ৬ কিলোমিটার জুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুপুর ২ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত মহাসড়কে অবরোধ চলমান ছিলো।