কক্সবাজার শহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা ঝটিকা মিছিল বের করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার সময় হটাৎ করে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে এ ঝটিকা মিছিলটি বের হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হটাৎ জয় বাংলা শ্লোগান শুনতে পাওয়া যায় বিমানবন্দর সড়কের মহিলা কলেজ গেইটের সামনে থেকে।
এসময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা ১৫ থেকে ১৬ জনের এই মিছিলে কারো ছিল মুখ খোলা আবার কারো মুখ ছিল মাস্ক দিয়ে ঢাকা।
সামনে ব্যানার নিয়ে তারা বিমানবন্দর সড়ক থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কের ঝাউতলার মোড় পর্যন্ত গিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এ খবর মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার শহরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ছাত্র-জনতার মাঝে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার ডাক দিয়ে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল বের করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল, জেলা ছাত্র শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
আলাদা আলাদা বিক্ষোভ মিছিল বের করে রাতেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগানে মুখর করে তুলে কক্সবাজার শহর।
এ সময় ছাত্রনেতারা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোকে হুঁশিয়ার করে দেন।
শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় কক্সবাজারের অন্যতম সমন্বয়ক সাহিদুল ওয়াহিদ সাহেদ বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমরা ছাত্রলীগকে বলেছিলাম “দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না”।
তাই হয়তো তার টুস করে ৫ সেকেন্ডের জন্য দেখা দিতে এসে আবারও টুস করে গর্তে ঢুকে গেছে।’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কেউ আবারো দেশে অরাজকতা করার সৃষ্টি করলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
জেলা ছাত্রদল নেতা ফাহিমুর রহমান বলেন, ‘শান্ত কক্সবাজারকে অশান্ত করার পায়তারা করছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী লীগের এই পায়তারা কক্সবাজারবাসী যে কোন মূল্যে রুখে দেবে।’
এরপর পরই বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুর রহীম নূরী বলেন, ‘এখনো আমাদের শরীরের রক্ত গরম হয়নি।’
তিনি ঝটিকা মিছিলের সাথে জড়িত সকলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এদিকে এ-ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যে রাতেই ২জন আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা।
তারা হলেন উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ সিকদার ও মহেশখালী উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান।