বরগুনার তালতলীতে সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালতলী মাছ বাজার সংলগ্ন নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু ছিল এটি। বড় অংকুজান পাড়া, খোট্টার চর, ৪০গ্রাম সহ বিশাল একটি জনগোষ্ঠী মানুষের চলাচল ছিল এই সেতুটি । ভাঙা সেতুটির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী, কৃষক,জেলে এবং রোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৫বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।২০০৭ সালের সিডারে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর দীর্ঘ ১৭টি বছর অনেকটা বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। আজ শুক্রবার সকালে তা হঠাৎ ভেঙে পরে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকা দিয়েই চলাচল করছেন।
সেতু ভেঙে যাওয়ার সংবাদ শুনে, ঘটনাস্থানে ছুটে এসেছেন উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মো.শহিদুল হক সি.যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন,
উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমির, এ সময় তারা বলেন, বিএনপির সময়ে এই সেতুটি নির্মান করা হয়। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর সেতুটি মেরামত সহ নতুন করে নির্মাণের বারবার দাবী করা হলেও আওয়ামী সরকারের নেতারা তা কর্নপাত করেনি। এর কারণ ওপারের লোকজন বিএনপি পন্থী তাই । আওয়ামী সরকারের আমলে ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। আমাদের প্রাণের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলব। দ্রুত বিকল্প চলাচলের পথ তৈরি করে সেতু নির্মাণের।
উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন,সেতুটি আগেথেকেই -ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ তা আগেই জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন,সকাল ৮ ঘটিকার সময় সংবাদ শুনেছি, ঘটনাস্থলে নিশান বাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়েছেন,বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান ও যাচ্ছেন। শ্রমিক দিয়ে আজকের দিনের মধ্যে বিকল্প যোগাযোগের অস্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। এবং এ বিষয়ে পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।