রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী নগরীর দড়িখরবনা মোড়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠণ ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে রাজশাহী মহানগর আরএমপি'র কাশিয়াডাঙ্গা থানার মাত্র একশ গজ দূরে নিষিদ্ধ সংগঠণ ছাত্রলীগের কর্মীরা কিভাবে মিছিল করলো? সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কেনো তাদেরকে গ্ৰেফতার করলো না? তাদের সাথে প্রশাসনের কি সখ্যতা আছে? এমন ধরনের নানা প্রশ্ন ছুড়েদেন বক্তারা। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠণ ছাত্রলীগের ওইসকল কর্মীদের গ্ৰেফতার না করলে কাশিয়াডাঙ্গা থানা ঘেরাও করার হুশিয়ারিও দেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, আমরা তামাসার নির্বাচন চাইনা। ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষরা ভোটের আনন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। পলায়ন করা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন স্বাভাবিক কোন পতন ছিলনা। হাজারো ছাত্রজনতার রক্তে নিজেদের হাত রাঙ্গানোর কারণেই তাদের এই আকস্মিক পতন হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের ইচ্ছে গুলি চালায়নি। তাদেরকে গুলি চালাতে আওয়ামী সরকার বাধ্য করেছে। তাই, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠণ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে গ্ৰেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি তোলা হয় অবস্থান কর্মসূচি থেকে।
১৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনির সহ বেশ কয়েকজন বক্তা বলেন, আমরা কিন্তু ধরিনা, ধরলে ছাড়িনা। তাই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ ঘোষিত অঙ্গসংগঠণ ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীরা যদি আবারো মিছিল বা লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালন করে, তাহলে আমরা কঠোর হবো। বক্তারা ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার সরকার এরশাদের স্বৈরতন্ত্রের বিষয়বস্তুও তুলে ধরেন।
উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সাবেক সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের মারুফ হোসেন জীবন, সরকারি সিটি কলেজের ছাত্রদলের সথস্য সচিব এমদাদুল হক লিমন, ১৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনির, একই ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাসিদ আলী নিমন সহ নগীরর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।