রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাটের টেন্ডার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডার বাক্স ভেঙ্গে ভেতরে থাকা সিডিউলের পেপারস লুট করে নিয়ে গেছে একপক্ষ। ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনাও। আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলা ১৪৩২ বঙ্গাব্দের জন্য গত ১৫ জানুয়ারি পবার ১২টি হাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন।
হাটগুলোর মধ্যে খড়খড়ি হাটকে কেন্দ্র করে পবা উপজেলা চত্বরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ও বিরোধপূর্ণবস্থা বিরাজ করছিল। উভয় পক্ষের উত্তেজনা বৃদ্ধির একপর্যায়ে চারটি ককটেল বিস্ফোরন সহ কয়েক রাউন্ড গুলি করে একপক্ষ। রনি নামের একযুবক ছুরির আঘাতে আহত হন। আহত রনিকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শাহমখদুম থানা পুলিশ এসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। অবশেষে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই প্রতিবেদন লেখাকালিন (বিকেল ৪:৩০ মিনিট) সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ'র দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। অবশেষে, টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নিরাপত্তা জোড়দার করার লক্ষে সেনাবাহিনী ছাড়াও পবা উপজেলা চত্বরে অবস্থান নেয় বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও সিআরটি (ক্রাইম রেস্পন্স টিম)'র সদস্যরা।
উপজেলা চত্বরের বাগানের ভেতর পরে থাকা অবিস্ফোরিত একটি ককটেল বিকেল ৪:৩০ মিনিটে ডিস্পোজ করেন বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যরা। বিকট শব্দে ফাটে ককটেলটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে টেন্ডার বাক্সটি পড়ে আছে। এর এক পাশ খোলা এবং ভেতরে কারও দরপত্র নেই। সব লুট হয়েছে। ঘটনার পর সেখানে গিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ বলেন, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। তিনি আরকিছু বলতে চাননি।
আরএমপি'র শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন বলেন, পবা উপজেলা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্ৰহ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, বিষয়টি প্রসেসিংয়ে আছে। অবশ্যই সংগ্ৰহ করা হবে।