কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়ন বিএনপি’র ওয়ার্ড থেকে শুরু করে মূল কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের কে অন্তর্ভুক্ত না করা, অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছেন।
আজ (৫ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে চান্দেরচর ইউনিয়ন শোভারামপুর-২ চৌমহনীবাজারে প্রতিবাদের ঝড় শিরোনামে মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর ঘরোয়া এই কমিটির অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন চান্দেরচর ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহকারি সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যারা গত ১৭ বছর যারা বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভূমিকা নেই, যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচন করেছিলেন এবং সাথেই উঠাবসা ছিলেন তারাও কিভাবে কমিটিতে স্থান পায়। অথচ দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী আছে যাদের অবজ্ঞা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কমিটির নিজের স্বাক্ষরে নিজেই সভাপতি হয়েছেন, ত্যাগী নেতাদেরকে বাদ দিয়ে আবার সেই কমিটিতে সভাপতির স্ত্রীকে রেখেছেন সহ-সভাপতি, এটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া কিছুই। জেলা বিএনপির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এই কমিটি বাতিলের দাবি করেন।
এ দিকে চান্দেরচর ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি জাকির হাসান জাকি মুঠোফোনে বলেন, গোলাম মোস্তফা সে বিএনপি করতো, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ করেন ও আবার বিএনপিতে আসে। মাঝে অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে ছিলেন ও সুস্থ হয়ে আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেননি। ইউনিয়ন প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি শতভাগ পরিচ্ছন্ন হয়েছে, আমি নিজে প্রতিটি ওয়ার্ড ওয়ার্ড গিয়ে কর্মী সস্মেলন করেছি ও কর্মী সম্মেলনে উপজেলার নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন জানান, দল যাদেরকে যোগ্য মনে করেছে তাদের পোস্ট দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেউ যদি পোস্ট থাকে আমি তা জানি না, তবে আমরা ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি করেছি বিভিন্ন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটিতে যদি কোন আওয়ামী লীগের লোকজন পদবী পায় আমরা তদন্ত করে তাদের বাতিল করবো।