× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

খাবারের দোকানে গরুর কলিজা দেয়ায় মারধর ও ভাংচুর করে হিন্দু শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৪ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারবেলা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বটতলায় খাবারের দোকানে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে খাসির কলিজার জায়গায় গরুর কলিজা পরিবেশন করায় খাবারের দোকানে ভাঙচুর ও দোকান মালিককে মারধর করেছে হিন্দু শিক্ষার্থীরা।  এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দোকান বরাদ্দ বাতিল করে তালাবদ্ধ করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।  

আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকার রাধুনী হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, দুপুর আড়াইটায় বান্ধবীকে নিয়ে রাঁধুনী হোটেলে আসেন বোটানি ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ বড়াল। তিনি দোকানের কর্মচারী ফারুককে খাসির কলিজা দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু কর্মচারী ভুলবশত গরুর কলিজা পরিবেশন করে এবং শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে এটা গরুর কলিজা। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি দোকান মালিক মো. রিপনকে জিজ্ঞেস করলে এ বিষয়ের সত্যতা পান। পরে বিশ্বজিতের ডাকে হিন্দু শিক্ষার্থীরা এসে দোকানের খাবারের গামলা নিচে ফেলে দেয় ও প্লেট ভাংচুর করে এবং এসময় প্রক্টরের সামনেই রনি চন্দ্র নামে ৪৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী দোকান মালিক রিপনকে মারধর করে৷ 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বিশ্বজিৎ বড়াল (বোটানি ৫১ ব্যাচ) বলেন, আমাকে খাসির কলিজা বলে গরুর কলিজা খাওয়ানো হয়েছে৷ এটা আমার ধর্মে বারণ বা পাপ। এ কাজ করে দোকানদার গুরুতর অন্যায় করেছে। তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বোটানি ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী শুভ সরকার বলেন, গত কয়েকদিন আগেও রফিক জব্বার হলের পাশে সাদেকের দোকানে এরকম ঘটনা ঘটেছে । তারপরও তাদের শিক্ষা হয় না। ২০ মিনিটের মধ্যে প্রক্টর এখানে না আসলে আমরা দোকান ভেঙে গুড়িয়ে দিবো। দোকান মালিক ও স্টাফকে পুলিশে দিতে হবে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

এ ব্যাপারে দোকান মালিক রিপন বলেন, এটা অনেক বড় একটা ভুল কাজ হয়ে গেছে, আমার স্টাফের আসলে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, ভাই কি খেতে চায়। এটা নিশ্চিতভাবে একটা বড় ভুল। আমি ভাই আর আপুর হাতে পায়ে ধরে মাফ চেয়েছি। বলেছি, আর কখনো এমন হবে না৷ কিন্তু তারা তবুও আমার কথা শুনছে না। দোকান বন্ধ করে দিলে আমি চলতে পারব না। এই দোকানের উপর আমার পুরো পরিবার নির্ভরশীল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, দোকানটা কামালউদ্দিন হলের অধীনে। আমি একই সাথে কামাল উদ্দিন হলের প্রভোস্ট হিসেবে রিপন মিয়ার দোকানের বরাদ্দ বাতিল করলাম। তার দোকান এখন থেকেই তালাবদ্ধ থাকবে৷ পরবর্তীতে সে এসে মালামাল নিয়ে যাবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.