মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া রুটে দুই বছর ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ। রাজধানীর চাপ কমাতে দুই পাড়ে, সাড়ে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্ত করেও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সহজ যোগাযোগের সুফল নেই। তাই দুর্ভোগে মানুষ। ট্রলারে করে ঝুঁকি নিয়ে বিশাল মেঘনা পারি দিচ্ছে মানষ। ২০২২ সালের ৯নভেম্বর আবার ফেরি সার্ভিস চালু হলেও সপ্তাহ না যেতেই বন্ধ।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ জনু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া রুটের মেঘনায় ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন। যানবাহনে কমের কারণ দেখিয়ে তিন মাস পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। এরপর ৮০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পুন:নির্মাণ করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাথে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে তথা পদ্মা সেতুর সহজ কান্টেভিটির উদ্যোগ নেয়া হয়। রাজধানী ঢাকার চাপ কমানো পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায়। আর উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতসহ নানা দূর্ভোগে মানুষ। তাই স্থায়ী সমাধানে সেতু নির্মাণের দাবি তাদের। ফেরি চালু হলে গাজারিয়ার সাথে জেলা সদরের সড়ক পথে দূরত্ব কমবে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার।
কাচামাল ব্যবসায়ী আসলাম খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রতিদিন মালামাল নিয়ে ট্রলারে করে পার হতে হয়। এখানে যে ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছিল নব্য সংকট ও বিভিন্ন অজুহাতে ফেরি সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফেরিটি চালু করা এখন সময়ের দাবি।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী উম্মে শান্তা বলেন, পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন এই নদী পার হই। এই নদীতে প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা। ঝড়ে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। ঝড় বষ্টি কৃয়াশা উপেক্ষা করে প্রাণের ঝুকি নিয়ে পার হতে হয় এই মেঘনা নদী। এই নদী দিয়ে ব্রিজ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
বেসরকারি চাকরিজীবী গজারিয়া উপজেলার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন আমাদের ঝকিুঁ নিয়ে এই নদী পার হতে হয়। নদী পার হতে যেমনি সময় অর্থ দুটি ব্যয় হয়। বর্ষাকালে উত্তাল নদী শীতকালে গণ কুয়াশা ঝড়-বৃষ্টিতে পার হতে হয় জীবনের ঝুকি নিয়ে। অতি দ্রুত এখানে ব্রিজটি নির্মাণ করা প্রয়োজন।
মন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেছেন, ফেরি সার্ভিসটি আবার চালুর পাশাপাশি সেতু নির্মাণের প্রেচেষ্টা চলছে। জেলা সদরের সাথে গজারিয়া উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত কষ্টকর এটি নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঘরে যেতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় অল্প দুরত্বেই মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর অবস্থিত নদীর কারণে এটি দরত্ব বেড়ে গেছে চারদিক দিয়ে। আমরা এটা সরকারের পক্ষ থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করছি। আবারো কিভাবে দ্রুত ফেরি চালু করা যায়। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য এখানে ব্রিজ নির্মাণের পদক্ষেপ রয়েছে।