রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘ ৬ বছর পর শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ভাইভা বোর্ডের মধ্য দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগও শুরু হবে।
তবে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় কোন পরিবর্তন আসছে না বলে জানানো হয়েছে। ২০২২ সালের নিয়োগ নীতিমালার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব জানিয়েছেন।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শেষে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারি করা নিয়োগ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়োগ কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
নতুন নিয়োগ নীতিমালায় একজন প্রার্থীর অনার্স এবং মাস্টার্সের ফলাফল ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট ৫ এবং মেধাক্রমে ১-৭ এর মধ্যে থাকতে হবে। তবে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট ৫ এর নিচে হলে তা শিথিলযোগ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনায় গণ্য করা হবে।
বর্তমানে রাবিতে ১ হাজার ৪৯০টি শিক্ষক পদের মধ্যে ৪৪০টি শূন্য রয়েছে, যার মধ্যে ৫৮ জন শিক্ষক সম্প্রতি অবসরে গেছেন এবং কিছু সংখ্যক শিক্ষক মারা গেছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৩৫, যা বিশ্বব্যাপী গড় মানদণ্ডের তুলনায় বেশি। নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় অনুপাত কমার আশা করা হচ্ছে।
ভিসি অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব জানিয়েছেন, ‘বর্তমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম চালানো হবে। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে পরবর্তীতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।’