বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারে মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাইক্কাবিলের মৎস অভয়াশ্রমটাকে টিকিয়ে রাখাটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এ জন্য অভয়াশ্রম টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ গুলো আছে। যেমন অনেকে মনে করে ট্যুরিজমকে এলাও করা উচিৎ না। আমরা মনে করি এখানে রেস্টিকটেক করাটা খুব জরুরি।
কারণ অন্যান্য জায়গায় তারা যেতে পারে কিন্তু বিলের এই জায়গাতে আসা উচিৎ না। তো সেই জায়গাতে আমরা মনে করি বাইক্কা বিলের খনন কাজগুলো খুব জরুরি। যেগুলো আরও খুব খনন করার দরকার আমরা সেগুলো করব। এগুলো যেভাবে করতে হয় সেভাবে আমাদের কর্মকর্তারা আছেন তারা জানাবেন আমরা তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করব।
আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত জেলার অন্যতম মিঠা পানির উৎস হাইল হাওরের বাইক্কা বিল মৎস অভয়াশ্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন অর্ন্তবর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
এ সময় সেখানে মৎস্য ও প্রানি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. আবু নঈম মোহাম্মদ আব্দুছ ছবুর, মৎস্য অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসি, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলী আকবর, সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মামুন হাসান, জেলা প্রশাসন ও মৎস মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা সহ শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইসলাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
শীতের সময়ে বিলের চারপাশ ঘিরে হাজার হাজার অতিথি পাখির বিচরণ। গুঞ্জন রয়েছে সেখানে ফাঁদ পেতে শিকারিরা পাখি শিকার করে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, যারা পাখি শিকার করে আনন্দ পেতে চায় তাদের প্রতি হাত জোর করে বলতে চাই এই আনন্দ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখেন। কারণ এটা একেবারেই নির্মম অমানবিক। এটা দেশের জন্য ক্ষতি প্রাণ-বৈচিত্রের জন্য ক্ষতি। এটা বন্ধে আইনি কিছু ব্যাপার আছে যেটা মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। এটা বন মন্ত্রনালয় করতে পারবে। সেটা আমরা যখনই খবর পাচ্ছি তখনই তাদেরকে জানাই,ওরা হয়তো কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার জন্য ব্যাপক সচেতনতার দরকার আছে। এছাড়াও হাওরের মাছের প্রজনন বৃদ্ধি করতে হলে ইজারায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। সেই সাথে হাওরের পাশে জমি চাষে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের বড় একটা আন্দোলনের পরে একটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সবকিছু তো পরিবর্তন হয়নি। যারা ক্ষমতায় ছিলো আগে তাদের অনেকেই এখন সক্রিয় হবার চেষ্টা করছে। ফলে এটার কারণে নানা রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আমি মনে করি এটা সাময়িক হবে, এটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনা। কারণ এখন অলরেডি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরেকটু সক্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুরের ঘটনা সহ অন্যান্য ঘটনার পরে। তো আমার কথা হলো যে আমরা দেশ থেকে এখন সংস্কার করে দেশের যে ক্ষতিগুলো হয়েছে এগুলোকে ঠিক করে একটা নির্বাচন দিয়ে আমরা যেন যেতে পারি এই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করতে চাই।
এদিকে বিল পরিদর্শন শেষে উপদেষ্ঠা ফরিদা আখতার হাওরের বিলের পাশের গ্রাম হাজীপুরে বসবাসরত মৎস ও কৃষির সাথে জড়িত শতাধিক উপকার ভোগীদের সমস্যা নিয়ে তাদের কথা শুনেন এবং নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন। সেখানে তিনি বলেন, বাইক্কা বিলের অন্যতম জাদুরি বিলটি খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।