ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ঢাকা থেকে একটি লংমার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পৌঁছেছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে লংমার্চটি শিবগঞ্জে পৌঁছায়।
এরপর শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেয়াফত অনুষ্ঠান। সেখানে গরু জবাই করে ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণ’- এর ব্যানারে এই লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি চলছে। এ উপলক্ষে রোববার দুপুরে একটি মিছিল বের হয়ে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় সবার হাতে হাতে ভারতবিরোধী বিভিন্ন কথা লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
এর আগে শনিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চটি রোববার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মডেল সরকারি হাইস্কুলে পৌঁছায়। এই সময় তারা ‘কাঁটাতারের ফেলানী আমরা তোমাকে ভুলিনি’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘বেশি করে গরু খান, আগ্রাসন রুখে দেন’, ‘দিল্লি না, ঢাকা; ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’সহ নানান স্লোগান দেন।
জেয়াফতে অংশহণ করতে আসা শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, সম্প্রতি তাদের এলাকায় ভারতীয়রা আগ্রাসন চালিয়েছিল। এই আগ্রাসন বিরোধী কার্যক্রম স্থানীয়রা প্রতিহত করেছিল। আর যারা এই ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্য এখানে প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। সেজন্য আমরা এখানে এসেছি এবং আমাদের এই প্রোগ্রাম আমাদেরকে উৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের প্রতিনিধি ওয়ারেছুল ইসলাম নাসির বলেন, ‘ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সীমান্তের নাগরিকদের সচেতন, সজাগ ও উদ্বুদ্ধ করতেই এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা পুরো দেশের নাগরিকরা সীমান্তবাসীর পাশে রয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে সকল ধরনের আগ্রাসন ও হত্যা বন্ধের হুঁশিয়ারি জানাই।’
আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ‘বগুড়ায় হিন্দু রাজার নিপীড়নের বিরুদ্ধে গরু জবাই করেছিল। আর এই জেয়াফতটা অনেক আগে থেকে প্রচলিত ছিল। ভারত তার গরু রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মুসলমানকে নিপীড়িত করে। তার প্রতিবাদেই আমাদের এই জিয়াফত কার্যক্রম।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম হিসেবে গরু জবাই করা হয়েছে। আলোচনা হবে এবং নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এছাড়া সীমান্তে যারা নিহত হয়েছিল তাদের নামে আজকে সন্ধ্যার দিকে ফানুস উড়াব। শহীদদের সম্মানে তার নাম লেখা ফানুস আকাশে উড়িয়ে দেব।’