ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ রাজাপুর মুক্তিযুদ্ধ মিলন কেন্দ্রে আজ সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলেন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আসলামু আলাইকুম। আমরা রাজাপুর উপজেলা বিএনপির এবং সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আপনাদের সাথে আমাদের দলীয় কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। আপনারা রাজাপুর উপজেলায় যারা সংবাদ সংগ্রহ করে থাকেন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট, টিভি মাধ্যম গুলোয় তারা দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, আইন শৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকেন তারা জানেন রাজাপুর উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটা নেতা কর্মীর দলীয় কর্মকান্ডের ইতিবৃত্ত। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি পরিবার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করে আসছে। আমরা রাজাপুর উপজেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের অনুমোদিত বৈধ কমিটি। ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। দীর্ঘ ১৭ বছর অসংখ্য হামলা মামলা নির্যাতনের স্বীকার রাজাপুর উপজেলা বিএনপি পরিবার। আমাদের কোনো কষ্ট নেই, কোনো ক্ষোভ ছিলো না। আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত, মমতাময়ী দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভালোবাসায় সিক্ত। জননেতা জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিচল আস্থাশীল। আন্দোলেন চূড়ান্ত পর্যায় ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে আতাত করে যখন দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে জাতীয় বেইমান খ্যাত শাহজাহান ওমর দল ত্যাগ করেন তখন আমরা রাজাপুর উপজেলা বিএনপি পরিবার অভিভাবক শূন্য হয়ে পরি।আমাদের বিশ্বাস তার এই বিশ্বাসঘাতকতা আপনাদেরকেও ব্যথিত করেছে। আমাদের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। দলের ভারপ্রপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। রাজাপুর উপজেলার আরেক কৃতি সন্তানকে ঝালকাঠি জেলার অভিভাবক হিসাবে আমাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। তিনি হলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম জামাল। আমরা জনাব জামাল ভাইকে আমাদের মাঝে পেয়ে শান্তি ফিরে পেলাম। জামাল ভাইকে নিয়ে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে দলীয় নেতা কর্মীদেরকে একতাবদ্ধ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। একই অবস্থা কাঠালিয়া উপজেলায়ও বলা বাহুল্য বেইমান শাহজাহান ওমরের সাথে কিছু সুবিধাবাদীরাও চলে গিয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করিয়াছেন। অন্যদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা যখন বাড়ি ঘর ছেড়ে হামলা মামলার শিকারে দেশ ত্যাগী হয়েছেন। তখনও এই সমস্ত বেইমান গুলো তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত রয়েছেন। চূড়ান্ত আন্দোলনের মধ্যে ৪ ঠা আগস্ট ২০২৪ তারিখে লগি বৈঠা নিয়ে এ সমস্ত দলত্যাগী কুলাঙ্গাররা আমাদরে নেতা কর্মীদের এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার মারপিটে করে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলো। আশাকরি শুনেছি ১/১১ এর সময় বিএনপির বিপক্ষে ব্যপক কাজ করেছেন। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নেতৃত্বে এই ভদ্র লোক নেতৃত্বে ছিলেন। বর্তমানে বেইমান শাহজাহান ওমরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ করছে। এই জাকারিয়া লিংকন রাজাপুর উপজেলার ছেলে। ভাই বোন সকলের এলাকার আওয়ামীলীগের লোক বলে সু-পরিচিত। ২০১৪ সলের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের সাধারন সম্পাদক মোঃ নাসিম উদ্দিন আকনকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে ভোট জালিয়াতির মাধ্যামে তার ভাইকে আওয়ামী প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী করে। বড় ভাই ছিলেন রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী এর সভাপতি। মাঝে মাঝে বেঈমান শাহজাহান ওমরের সাথে রাজাপুর আসতো। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। তারপর এই রেজাউল করিমশুনেছি টাউট প্রকৃতির লোক, পেশাজিবী পরিচয়ে প্রবাসে চলাফেরা করেন। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজে নির্বাচন করে জামানত হারান। গোলাম আজম সৈকত সম্পর্কে বলে, এই ব্যক্তি ছাত্রদলের সাথে জড়িত ছিলো। বেয়াদবীর কারনে দল থেকে বহিস্কার হন। পরবর্তীতে বেইমান শাহজাহান ওমরের পি.এস হিসাবে কাজ করে। বর্মমানে বেইমানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। এই সমস্ত হাইব্রিড কেন্দ্রীয় নামধারী নেতাদের সমন্বয়ে গত ২ দিন যাবৎ রাজাপুর কাঠালিয়ার বিএনপির নামে বহিষ্কৃিত এবং অব্যহতি প্রাপ্তদের নিয়ে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছে যাহা রাজাপুর উপজেলা বিএনপি অবহিত নয় রাজাপুর-কাঠালিয়ার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাদেরকে প্রত্যক্ষাণ করেছে। যার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। তাদের কৃতকর্মের দ্বায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপি নিবে না। আমরা এই সমস্ত নেতাদের তাদের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি আপনাদের মাধ্যমে এবং রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দীন আকনের সদস্যপদ অতি দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবীদলের সভাপতি রতন দেবনাথ, যুবদল নেতা পারভেজ, যুবদল নেত্রী নাসিমা প্রমূখ।