ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ছাত্র জনতার তোপের মুখে পরেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীনগর পৌরসভার প্রশাসক রাজীব চৌধুরী। আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব, মামলা ও বদলি বাণিজ্য এবং নবীনগর পৌরসভার এক কর্মচারীর বদলীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র জনতা তাকে ঘিরে ধরেন।
জানাযায়, আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব, মামলা ও বদলি বাণিজ্যের প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ব্যানারে নবীনগর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা চলছিলো, এসময় তিনি গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে ছাত্র জনতা তাকে ঘিরে ধরেন।ছাত্রদের অভিযোগ নবীনগরে আওয়ামী দালালদের দৌরাত্ব, মামলা ও বদলি বাণিজ্যের সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত।
তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।তারা আরও বলেন, ছাত্রদের নাম বিক্রি করে নবীনগর পৌরসভার অফিস প্রধান আবদুল মোমেনকে বদলী করা হয়েছে শুধু মাত্র পৌরসভার স্টোর কিপার জায়েদকে প্রমোশন দেওয়ার জন্য। এই কাজের সাথে পৌর সচিব বেলজুর রহমান জড়িত। অবিলম্বে মোমেনের বদলির আদেশ বাতিল করা হোক,নতুবা জায়েদকে ও পৌর সচিবকে বদলি করা হোক।তারা আরও বলেন, যে সকল নামধারী সাংবাদিকেরা এখনও আওয়ামীলীগের পক্ষে দালালি করছে, তাদের বিষয়ে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
ছাত্ররা দাবি করে বলেন, নবীনগর সদরের প্রাণ কেন্দ্র কলা বাজারের কয়েক কোটি টাকার সরকারি জায়গা আওয়ামী পদধারী কয়েকজন নেতা ও এক ভূমিদস্যু লিজের নামে দখল করে রেখেছে। ওই লিজ বাতিল করে ওই স্থানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নবীনগরের শহীদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ করা হোক। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয় পৌর সচিব বেলজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।এসময়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন, আবদুল মোমেন শারীরিকভাবে অসুস্থ,মানবিক দিক বিবেচনা করে তার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং কলা বাজারের লিজের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে এবং ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী শহীদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ করার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।