জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা।
সমাবেশে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসন মুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।
দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য অর্ন্তর্বতী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান নেতারা।
আজ (১৮ ফেব্রæয়রি) দুপুরে শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন দলের নেতারা।
জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মো: ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মো: আব্দুল মান্নান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, জেলা জামায়াতের মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-৪ আসনের দলের মনোনীত প্রার্থী সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মো: আব্দুর রব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর ফখরুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলা আমীর আবু রাইয়ান শাহীন, কুলাউড়া উপজেলা আমীর আব্দুল মুন্তাজিম, জুড়ী উপজেলা আমীর আব্দুল হাই হেলাল, বড়লেখা উপজেলা আমীর এমাদুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার শহর সভাপতি তারেক আজিজ ও জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় এই নেতার মুক্তির দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব চত্বর ঘুরে শাহ মোস্তাফা সড়ক, বেড়িরপার, কুসুমবাগ পয়েন্টে হয়ে চৌমুহনী পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয় ।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অর্ন্তর্বতী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্তেও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি।