চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়ায় জামায়াত কর্মী আব্দুল নূরের সিএনজি পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা।ভুক্তভোগীর অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের ইন্ধনে এঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ৪ টার সময় উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা মৌলভীর বাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল নূর (৫২) - উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছনখোলা বলীর বাড়ি মৃত আলী বকসুর সন্তান।তিনি ছনখোলা ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যকরী সদস্য ও নবগঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ওয়ার্ড সভাপতি।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ছনখোলা কেন্দ্রীয় মসজিদের নিকটস্থ মৌলভীর বাড়ির সামনে রাতে সিএনজি রেখে চলে যান।সেখানে অন্যান্য সিএনজি চালকরাও প্রতিদিনের মতো তাদের সিএনজি রেখে যায়।কিন্তু রাত আনুমানিক ৪ টার সময়ে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে আব্দুল নূরের সিএনজিতে আগুনে পুড়ে পালিয়ে যায়।অন্যান্য গাড়িগুলো অক্ষত থাকলেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় আব্দুল নূরের সিএনজি।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, জামায়াত করার অপরাধে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় রাতের আঁধারে আব্দুল নূরের সিএনজি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।এলাকার মানুষের সুবিধা অসুবিধায় এই গাড়িটি নিয়ে মানুষের পাশে এগিয়ে আসতেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল নূর জানান, গত কয়েকদিন আগে আমার গাড়ির চাকা ও পাইপ চুরি করে নিয়ে যায়।গতকাল রাতে সুপরিকল্পিতভাবে আমার গাড়িটি পুড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।
কারা এঘটনা ঘটিয়েছেন সঠিক জানাতে না পারলেও নূর জানায়, আমার সাথে কারো শত্রুতা নেই।শুধুমাত্র জামায়াত করা ও অন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান করায় আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম মানিকের সন্ত্রাসীর শিকার হয়েছি বারবার।এবারেও তার ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।কারণ ঐ জায়গায় অনেকগুলো সিএনজি রাখা হয় কারো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়নি আমারটা ছাড়া।
সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ তারেক হোছাঈন জানান, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর দীর্ঘদিন ধরে এওচিয়ার সাধারণ জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে।স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পরও দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।যার অংশ হিসেবে জামায়াত নেতা আব্দুল নূরের রোজগারের সিএনজিটি পুড়িয়ে দেয়।প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি ও পাশাপাশি আব্দুল নূর ভাইয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, অফিসাল মিটিংয়ের কাজে বাহিরে থাকায় ঘটনার সম্পর্কে কোন ফোন আসেনি।আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।