কুমিল্লার হোমনায় স্ত্রীর চার মাসের গর্ভোজাত সন্তান নষ্টের জন্য বিশাক্ত কীটনাশক সেবন করে স্বামীর আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আত্মহত্যা করা ব্যাক্তি উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের মাইঝচর-শোভারামপুর-২ গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে মো. নাজিম (২৭)। বুধবার ১৯ শে ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মাইঝচর-শোভারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, এক বছর আগে একই গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২০) সাথে নাজিমের বিয়ে হয়। এরই মাঝে তানিয়া চার মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানা যায়। কয়েকদিন পূর্বে তানিয়া তার বাবার বাড়িতে যায়। তখন তানিয়ার পরিবার থেকে জানায় তারা নিজামের সাথে আর তাদের মেয়ের সংসার করাবে না। তারা তাদের মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে। এজন্য তারা চার মাসের গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে ফেলে। এরপর তারা ছেলের ও তার পরিবার কে না জানিয়ে মেয়েকে ডিভোর্স করায়। পরে নাজিমকে ডিভোর্সের কথা ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়।
এতে নাজিম অভিমান করে বুধবার রাতে বাড়িতে থাকা কীটনাশক সেবন করে। পরিবারের লোকজন তা জানতে পেরে তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়। এরপর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।
নিহতের বড় ভাই সাজ্জাদ বলেন, আমার ছোট সহজ সরল ছিল। হঠাৎ তানিয়া কে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে বলে জানায় তার পরিবার। এজন্য তানিয়ার পরিবার তার গর্ভে থাকা চার মাসের সন্তানকে নষ্ট করে এবং আমার ভাইকে ডিভোর্স দিয়ে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচণা দেয়। এতে আমার ভাই কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগরের এসআই আলমগীর তালুকদার জানান, সংবাদ পেয়ে নাজিমের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরী করে পোস্টমর্টেমের জন্য কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠিয়ে দিযেছি। এদিকে হোমনা থানার ওসি জাবেদউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।