শ্রদ্ধা,
ভালোবাসা আর চোখের জলে
চট্টগ্রামে শেষ বিদায় জানানো হলো রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে।দেশের এই
সময়ে সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের বড়ই
প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার
(২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাজার
পূর্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি
বলেন, ‘নোমান ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা চট্টগ্রাম মহানগরের রাজনীতি করেছি। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে, আন্দোলন, সংগ্রামে রাজপথে আমরা একসাথে কাজ করেছি। নোমান ভাই ছাত্র রাজনীতি করেছেন, শ্রমিক রাজনীতি করেছেন, বিএনপির রাজনীতি করেছেন।
অংশগ্রহণকারীদের
উপস্থিতিতে মসজিদের সামনের মাঠটি কানায় কানায় ভরে ওঠে। মাঠ ছাপিয়ে পাশের সড়কও পরিপূর্ণ ছিল মানুষে। বৃদ্ধ থেকে তরুণ- এমনকি শিশুরাও জানাজায় অংশ নেন।
বিএনপির
পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক
সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন ঘরের ছেলে নোমানকে শেষ বিদায় জানাতে।
এতে
অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, মাহবুবের রহমান শামীম, মীর মোহাম্মদ হেলাল, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, মরহুমের ছেলে সাঈদ আল নোমান, জাতীয়
পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, আনজুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া
হয়।
জানাজা
শেষে মৃতদেহ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বিকালে গ্রামের বাড়ি রাউজান গহিরা স্কুলমাঠে নোমানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।