ছবিঃ সংগৃহীত।
এশিয়ার অন্যতম ও দেশের সর্ববৃহৎ জলাভূমি হাকালুকি হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ৩শ’ বিলের ৮টি মৎস্য বিলকে সরকার স্থায়ী অভয়াশ্রম ঘোষণা করে এগুলোর ইজারা প্রদান ও মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। মাছের অবাধ বিচরণ ও সংরক্ষণের জন্য ২০২৩ সালে মৎস্য অধিদপ্তর অভয়াশ্রম বিলগুলোতে ১২ লক্ষাধিক টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছে।
জানা গেছে, ৮০ একরের এই স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমের উন্নয়নে দুই বছর আগে মৎস্য অধিদপ্তর বাঁধ নির্মাণ ও বাঁশের কাটা ফেলেছে। এতে সরকারের ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে উপজেলা মৎস্য অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটি বিল পাহারায় ৩০ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবি সমিতিকে দায়িত্ব দেয়। এই সমিতির সদস্যরাই পরবর্তীতে ভক্ষকে রূপ নেয়। বর্ষায় বিভিন্ন জেলে গ্রুপের কাছে খেউ প্রতি ১ লাখ/দেড় লাখ টাকায় মাছ ধরতে দিয়েছে। এভাবে গত ২/৩ মাস রাতের অন্ধকারে নৌকা বোঝাই করে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরেছে। তেকুনি বিলের মাছ বিক্রি হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেটের কাজির বাজারে। সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব পাওয়া অসাধুরা মৎস্য বিভাগের নির্মিত বাঁধ কেটে জুড়ী নদীতে পানি ছেড়ে বিল শুকিয়ে মাছ লুট করেছে। জানুয়ারির শুরুতেই মাছ আহরণ শুরু করে। তেকুনি বিলের মাছ লুট করে সাধু সাজতে এখন লুটেরা বাহিনী হাওর খাল বিলের পানি ঢুকিয়ে ভরে দিচ্ছে।
বড়লেখা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফজল জানান, স্থায়ী অভয়াশ্রম তেকুনি বিল দেখাশুনা, রক্ষনাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ছয় শর্তে দুই বছরের জন্য উপজেলার মুর্শিবাদকুরা ও ইসলামপুর গ্রামের ৩০ সদস্যের একটি সেচ্ছাসেবি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই স্বেচ্ছাসেবি কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাচ্ছেন।
ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরেজমিনে তদন্ত করে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh