চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত ও গুলিবিদ্ধ অন্তত পাঁচজন। তবে অধিকাংশের দাবি পরিকল্পিতভাবে নিহতদের হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল (৩ মার্চ) রাতে উপজেলার এওচিয়া ১নং ওয়ার্ড ছনখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সঠিক পরিচয় জানা না গেলেও অধিকাংশ সূত্র অনুযায়ী নিহতরা হলেন কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক। তন্মধ্যে আবু ছালেক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিলেন বলে জানা যায়।

নিহতদের এলাকা কাঞ্চনার জামায়াত কর্মীরা জানান, এওচিয়ার সাবেক প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম মানিকের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এলাকায় মব সৃষ্টি করে অন্যায়ভাবে তাদের হত্যা করা হয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রাতে আওয়ামীলীগ নেতার খুঁজে ছনখোলা এলাকায় যান নেজামরা। সেখানে তাদের উপস্থিতি দেখে মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে ঘোষণা করা হয়। এসময় চারদিক থেকে মানুষ জড়ো হতে শুরু করলে আতংকে গুলি ছুটেন নেজামরা।

এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন এবং স্থানীয়রা গণপিটুনিতে নিহত হন নেজাম ও ছালেক।নিহতদের লাশ পুলিশ হেফাজতে এবং আহতদের বাশঁখালী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চমেক হাসপাতালে ছুটে যাওয়া কাঞ্চনার জামায়াত কর্মীরা জানান, আওয়ামী দোসর নজরুল ইসলাম মানিকের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টি করে নেজামদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এটা শতভাগ নিশ্চিত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

কাঞ্চনা ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী কামাল জানান, নজরুল ইসলাম মানিক কাঞ্চনার জামায়াত কর্মী বশরকে হত্যা করেছে। একইভাবে নেজামদের হত্যা করা হয়েছে।

তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাতি করতে আসায় মানুষের গণপিটুনিতে তারা নিহত হয়।বারবার বাহির থেকে এসে তারা এখানে হামলা চালায়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে। এমনকি ভিডিও ধারণ করে নেজামদের হত্যা করার ফুটেজও দেখা গেছে।

এঘটনায় সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, ছনখোলার সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনের লাশ পাওয়া গেছে তবে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এমনকি ঘটনার সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।