× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রাজশাহীতে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের মানবেতর জীবনযাপন

আলিফ হোসেন,তানোর প্রতিনিধি।

০৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:০৭ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

রাজশাহীর ৯টি উপজেলার ২৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা টানা ৮ মাস ধরে পাইনি বেতন ভাতা।

উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর নিয়ে জটিলতায় এমতাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।এতে চরম আর্থিক সংকটে পড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এমনকি দ্রুত বেতন ভাতা না পেলে এই পেশা ছেড়ে জীবন জীবিকার তাগিদে অনেককে বেছে নিতে হতে পারে অন্য পেশা।
 
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়। সে বছর প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ৭৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। পরবর্তী ২০০১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাই। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রিভাইটালাইজেশন অবকমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ (কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প) এর আওতায় ২০০৯ সালে শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে লোকবল দেওয়া হয়। ৫ বছর অতিবাহিত হলে ২০২১৫ সালে ওপিতে যায়। ওপি থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। 

এদিকে রাজশাহীর নয়টি উপজেলায় মোট ২৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। যার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় ৩৪টি, চারঘাট উপজেলায় ২৩টি, বাঘা উপজেলায় ২০টি, পবা উপজেলায় ৩২টি, তানোর উপজেলায় ১৯টি, মোহনপুর উপজেলায় ১৯টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ১৯টি, পঠিয়া উপজেলায় ২৮টি, বাগমারা উপজেলায় ২০টি। তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) হরিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সজিব বলেন, আমরা প্রতিদিন শত শত রোগীকে সেবা দিচ্ছি। আগে বরাদ্ধ আসলে দুই এক মাস পর বা প্রতি মাসেই বেতন পাইছি।

গত ৮ মাস থেকে হরিপুর কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে কোন বেতন পাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮ মাস থেকে বেতন না পেলে সংসার নিয়ে কেমন থাকতে পারি বলেই এই প্রতিবেদককে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিএইচসিপি বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে সামান্য ওই বেতন দিয়ে টেনেটুনে কোনো রকমে সংসার চলতো। তারপর আবার গত ৮ মাস থেকে বেতন পাইনি।

দোকানে বাকীর টাকা বেশী হওয়ায় দোকানদাররা আর বাকিতে জিনিস দিচ্ছে না। কী যে বিপদে রয়েছি, কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। সংসারে খেয়ে না খেয়ে কোনমতে দিনযাপন করছি। তার পরও রমজান মাস। কোন হাট বাজার করতে পারিনি। কি যে হয় আল্লাহ ভাল জানেন ?  তানোর উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক  বলেন, টানা গত ৮ মাস মাসেও বেতন হয়নি।

এ কারণে জেলার ২৩২ জন হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। অনেকেই ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ, পরিবারের অসুস্থ স্বজনদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম অন্তর বলেন, ট্রাস্ট ও রাজস্ব খাতের জটিলতার কারনে ৮ মাস ধরে বেতন ভাতা পাইনি। হাইকোটে রিট করে ট্রাষ্ট থেকে রাজস্ব খাতে যাওয়ার পক্ষে রায় হয়। আপিল করলে আপিলে ট্রাষ্টর পক্ষে রায় হয়। গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ট্রাষ্ট যোগ হয়। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনপাত করছে। বেতন ভাতা না পাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীরা হতাশ।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.